সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আপাতত বাজারের কম সুদের হারের সুযোগ নিয়ে পুরানো দেনা মেটাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে নতুন ঋণে সুদের হার, পরিশোধের সময়সীমা এবং ঋণের পরিমাণের মতো বিষয়গুলো এখন আলোচনাধীন আছে।
আর্থিক চুক্তির বিষয়গুলো স্পর্শকাতর হওয়ায় নাম গোপন রেখেছেন রয়টার্সের সূত্র। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটে আছে বাইটড্যান্স।
তবে, প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ইনফর্মেশন বলছে, শুধু দেনা শোধ করার তহবিলের খোঁজে নয়, পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে ব্যবসা প্রসারের তহবিলসহ মোট চারশ’ থেকে পাঁচশ’ কোটি ডলার ঋণের সম্ভাবনা যাচাই করতে একাধিক ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে বাইটড্যান্স।
চলতি বছরের শুরুতেই গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জনিয়েছিলো, বাইটড্যান্স পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশের বিষয়টি বিবেচনা করছে। আপাতত এমন কোনো পরিকল্পনা নেই বলে এপ্রিল মাসে পাল্টা খবর দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৩ সালে একশ ৩০ কোটি ডলারের ঋণ নিয়েছিলো বাইটড্যান্স, যার সময়সীমা ২০২২ সালের এপ্রিলে শেষ হবে। ১২টি ব্যাংকের এক সিন্ডিকেট থেকে ওই ঋণ পেয়েছিলো প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাংকগুলোর তালিকায় আছে, গোল্ডম্যান স্যাকস, জেপি মর্গ্যান, মর্গ্যান স্ট্যানলি, ইউসিএস, ব্যাংক অফ চায়না এবং চায়না মার্চেন্ট ব্যাংক।