মঙ্গল অভিযান: ‘হাল ছাড়বে না’ নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার

নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার প্রথমবারের মতো মঙ্গলের পাথর ভেঙ্গে নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করে চলতি অগাস্ট মাসে। কিন্তু পাথরের নমুনা এতোটাই ভঙ্গুর ছিলো যে ফাঁকা টেস্ট টিউব নিয়ে কাজে ক্ষান্ত দিতে বাধ্য হয়েছিলো মার্স রোভারটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2021, 01:24 PM
Updated : 31 August 2021, 01:24 PM

প্রথমবার ব্যর্থ হলেও নাসার বিজ্ঞানীরা আবারও নমুনা সংগ্রহের চেষ্টার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে সিনেট। দ্বিতীয় চেষ্টা চালানোর জন্য একটি পাথর চিহ্নিত করে নাসার বিজ্ঞানীরা তার নাম দিয়েছেন ‘রোশেট’। প্রথমে পাথরটি নিয়ে হালকা ভাঙচুর চালাবে পারসিভিয়ারেন্স রোভার। নাসার গবেষণার জন্য ‘রোশেট’ উপযুক্ত কি না, সেটাই যাচাই করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা। উপযুক্ত প্রমাণিত হলে পাথরের ভিতরে ড্রিল করে পেন্সিলের সমান নমুনা সংগ্রহ করবে রোবটটি।

মঙ্গলের মাটি আর পাথর পৃথিবীতে নিয়ে এসে গবেষণা করতে চায় নাসা। মঙ্গলের জলবায়ু বর্তমানে বা অতীতে কখনো জীবন ধারণের উপযোগী ছিলো কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরই গবেষণার মূল লক্ষ্য। প্রথমবার নমুনা সংগ্রহে ব্যর্থ হলেও নতুন উদ্যমে কাজে নেমেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

‘সিটাডেল’ নামের একটি শৈলশিড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে পারসিভিয়ারেন্স। এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, “ওই শৈলশিড়ার উপর যে পাথরের স্তরটি আছে, বাতাসের কারণে এর কোনো ক্ষয় হয় না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ড্রিল করার সময় পাথরগুলো যে ভেঙ্গে পড়বে না, তার ইঙ্গিত এটি”।

নমুনা সংগ্রহের প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থতার পর, দ্বিতীয় চেষ্টার সময় পারসিভিয়ারেন্সের একটি ক্যামেরা চালু থাকবে বলে জানিয়েছে নাসা। এর ফলে পৃথিবীতে বসে নাসার বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হতে পারবেন যে স্যাম্পল টিউবে সত্যিই নমুনা সংগ্রহ করা গেছে।

তবে প্রথম স্যাম্পল টিউব থেকেও বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়ার আশা করছেন নাসার গকেষকরা। “পৃথিবীতে নমুনা ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের উত্তর আশা করছি আমরা, বিশেষ করে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের গঠন প্রসঙ্গে”-- জানিয়েছেন নাসার পারসিভিয়ারেন্স প্রকল্পের বিজ্ঞানী কেন ফার্লে।

বর্তমানে মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠের ছবি তুলছে পারসিভিয়ারেন্স। পাশপাশি মঙ্গলের আবহাওয়া এবং ভূতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রাচীণ কোনো জীবাণুর আলামত পাওয়া যায় কি না, সেই অনুসন্ধানও চালাচ্ছে নাসার মার্স রোভারটি। পৃথিবীতে গবেষণার জন্য মঙ্গলের মাটি ও পাথর সংগ্রহ করতে পারলে, মহাকাশ গবেষণায় একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে সেটি।