সম্প্রতি এ ব্যাপারে এক বিবৃতি দিয়েছেন রেডিট প্রধান স্টিভ হাফম্যান। ‘ডিবেট, ডিসেন্ট অ্যান্ড প্রোটেস্ট’ নামের এক থ্রেডে তিনি লিখেছেন, “ভিন্নমত রেডিটের একটি অংশ এবং গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। রেডিট উন্মুক্ত এবং আসল আলোচনা ও বিতর্কের একটি স্থান। এর মধ্যে জনপ্রিয় ঐক্যমতের বিরোধী আলোচনাও রয়েছে। এর মধ্যে প্রতিবাদও রয়েছে যা প্ল্যাটফর্ম থেকে কোন কমিউনিটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে, সে ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এবং তার বিরোধিতা করে।”
করোনাভাইরাসের মতো প্রাণঘাতি বিষয়ে ভুল তথ্য না ঠেকানোর অদ্ভুতুরে অবস্থান চলতি বাস্তবতায় যুক্তিতে টেকে না। প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ এনগ্যাজেট উল্লেখ করেছে, হাফম্যান যে থ্রেডে বিবৃতিটি দিয়েছেন, সেটি লক করা ছিলো। ফলে রেডিট ব্যবহারকারীরা সরাসরি তার উত্তর বা পাল্টা যুক্তিও দিতে পারেননি।
অন্যদিকে, প্রতিবেদনে ভাইস উল্লেখ করেছে, হাফম্যানের বিবৃতি সুনির্দিষ্ট কোনো কমিউনিটি বা ঘটনার কথা না বললেও, আদতে ‘আর/ভ্যাক্সহ্যাপেনড’ এর এক পোস্টের কারণেই হয়তো মুখে খুলেছেন তিনি। ওই পোস্টে রেডিটে থাকা করোনাভাইরাস বিষয়ে ভুল তথ্যের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি কিছুই করছে না উল্লেখ করে দাবি ছিল প্ল্যাটফর্মটি যেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়। প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার আপভোট পেয়েছে ওই পোস্টটি। অনেক সাবরেডিট আবার নিজ কমিউনিটিতে ক্রস পোস্টিং-ও করছে থ্রেডটি।
ভুল তথ্য প্রশ্নে ফেইসবুক ও টুইটারের মতো একই ভাবে রেডিটের নাম সবসময় সামনে আসে না। কিন্তু এ প্ল্যাটফর্মটিও ভুল তথ্যের একটি উৎস। কোভিড-১৯ নিয়ে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রতত্ত্ব শেয়ার করে যাচ্ছে এমন একাধিক কমিউনিটি রয়েছে রেডিটে, ব্যবহারকারীরা চাইলেই সেগুলোতে প্রবেশ করতে পারছেন। এরকম সাবরেডিটে প্রবেশের সময় শুধু ভুল তথ্য বিষয়ক একটি সতর্কবার্তা দেখতে পান ব্যবহারকারী।