২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক দিয়ে প্রতিযোগিতার খেলাগুলো স্ট্রিম করার চল শুরু হয়। টোকিওর সামার অলিম্পিকের সময়ে আরও বেড়েছে স্ট্রিমিং।
টোকিও অলিম্পিকে ভুয়া স্ট্রিমিং সাইটের দৌরাত্ম্যের তদন্ত করেছে ক্লাউড ভিত্তিক ডেটা সেবার সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান জিস্কেলার (Zscaler)। টেকরেডার বলছে, অলিম্পিকের স্ট্রিমিং সেবার সঙ্গে একেবারেই সংশ্লিষ্ট নয় এমন একাধিক সাইটের সন্দেহজনক আচরণ চিহ্নিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অলিম্পিকের খেলাগুলো বিনামূল্যে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবহারকারীদের ক্রেডিট কার্ড সংশ্লিষ্ট তথ্য চাইতো সাইটগুলো।
ব্যবহারকারীরা নিবন্ধন করার পর ভুয়া সাইটগুলো একটি ভুয়া পেমেন্ট পোর্টালে নিয়ে যেতো তাদের, সংগ্রহ করতো ক্রেডিট কার্ড এবং ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্য।
টোকিও অলিম্পিকের সময় অ্যাডওয়্যার ব্যবহার করে প্রতারণার প্রমাণও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অ্যাডওয়্যারগুলো ফ্রি স্ট্রিমিং সেবার কথা বললেও, ব্যবহারকারী অ্যাডওয়্যারে ক্লিক করার পর অনলাইনে জুয়া খেলা, গাড়ি বেচাকেনাসহ সম্পূর্ণ ভিন্ন সাইটে নিয়ে যেতো তাদের।
ব্যবহারকারীদের ব্রাউজার এক্সটেনশন হিসেবে অ্যাডওয়্যার এবং ভুয়া সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করতে উদ্বুদ্ধ করতো বলেও এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে জিস্কেলার। ওই সময়ে ব্রাউজার হাইজ্যাকার হিসেবে পরিচিত ‘ইউরস্ট্রিমসার্চ’ এক্সটেনশনের দৌরাত্ম্য ছিলো চোখে পড়ার মতো। ব্যবহারকারীর সার্চ হিস্ট্রির ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন দেখায় ওই এক্সটেনশনটি।
২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত উইন্টার অলিম্পিকের সময় অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছিলো অলিম্পিকডেস্ট্রয়ার নামের একটি ম্যালওয়্যার। টোকিও অলিম্পিকের সময়েও সাইবার অপরাধীরারা ওই ম্যালওয়্যারটি ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে টেকরেডার। উইন্ডোজ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সংক্রমণ ঘটিয়ে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা চুরি করে ওয়ার্মটি।
এ ধরনের সাইবার ঝুঁকি এড়াতে ভিপিএন সেবা এবং টু-ফ্যাক্টর অথিনটিকেশন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে জিস্কেলার। এ ছাড়াও, অনির্ভরযোগ্য অ্যাপস্টোর ও ইমেইল এড়িয়ে চলার এবং গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের ব্যাকআপ রাখার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।