অন্যদিকে ফ্রি-ফায়ারের জনপ্রিয়তা দেশের মোবাইল গেইমারদের মধ্যে বেশি। তবে কেবল মোবাইল প্ল্যাটফর্ম নির্ভর হওয়ায় এবং তুলনামূলক দুর্বল গ্রাফিক্সের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাইরে এর কদর তুলনামূলক কমই বলা চলে।
সম্প্রতি এক নির্দেশে দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তিন মাসের জন্য গেইম দুটি বন্ধ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, লাইকি, পাবজির মত গেইম এবং ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ বন্ধের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে হাইকোর্টের ওই সিদ্ধান্ত।
কী এমন ভিডিও গেইম এগুলো যে, বন্ধ করতে আদালতে যেতে হলো? যেমনটা উঠে এসেছে আদালতে দেওয়া আর্জিতে, আসলেই কি দেশের কিশোর তরুণদের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে? এমন সব প্রশ্ন যেমন কিশোরতরুণরা করছেন তেমনি কপালে ভাঁজ পড়েছে অভিভাবকদেরও।
পাবজি আদতে কী?
বাজারের আর দশটি ফার্স্ট পার্সন বা থার্ড পার্সন শুটিং গেইমের সঙ্গে এর মূল পার্থক্য হলো, এটি একটি ব্যাটল রয়্যাল গেইম। অর্থাৎ, গেইমের মূল লক্ষ্য হলো অন্য গেইমারদের মেরে শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকা। পাবজি’র একটি অনলাইন গেইমে একসঙ্গে একশ’ গেইমার অংশগ্রহণ করতে পারেন। এদের প্রত্যেকের লক্ষ্যই থাকে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র সংগ্রহ করে প্রতিপক্ষকে মেরে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা। এক্ষেত্রে বাকি ৯৯ জনই থাকেন প্রতিপক্ষের ভূমিকায়।
শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার জন্য শুধু সেরা অস্ত্রই যথেষ্ট নয়। রণকৌশল ও উপস্থিত বুদ্ধির ব্যবহার গেইমটির অভিজ্ঞতার একটা বড় অংশ। আর গেইমের ভেতরে বিভিন্ন অস্ত্র এবং সেগুলোর ব্যবহার অনেকাংশে ‘বাস্তবসম্মত’ বলে আখ্যা দেন সংশ্লিস্ট অনেকেই। স্ট্রিমারদের কাছেও গেইমটি বেশ জনপ্রিয় বিভিন্ন কারণে। গ্রাফিক্সের কাজ, খেলার আবহাওয়া, পুরো গেইমের ধরন, এই সবকিছু মিলিয়ে গেইমটি খেলার অভিজ্ঞতা হয়ে উঠে উত্তেজনাপূর্ণ।
গেইমটির ডেস্কটপ সংস্করণ বাজারে আসে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। পরের বছরেই বাজারে আসে এর অ্যান্ড্রয়েড বা মোবাইল সংস্করণ।
উল্লেখ্য, প্ল্যাটফর্ম ভেদে পাবজির বেশ কয়েকটি সংস্করণ রয়েছে বাজারে। ডেস্কটপ আর কনসোল সংস্করণের জন্য খরচ করতে হয় গাঁটের পয়সা। তবে এর মোবাইল সংস্করণটি গুগল প্লে স্টোরে মেলে বিনা খরচে। পয়সা খরচ করতে রাজি নন কিন্তু ডেস্কটপ গেইমের অভিজ্ঞতা পেতে চান এমন অনেকে আবার মোবাইল সংস্করণটিই ইমিউলেটর দিয়ে পিসিতে খেলেন। আর পেশাদার-অপেশাদার গেইমার মিলিয়ে পাবজির মোবাইল সংস্করণই বেশি নজরে পড়ে বাংলাদেশে।
পাবজির মতো গেইমগুলো কি আসলে ‘বিপজ্জনক’?
আমেরিকান সাইকোলজিকাল অ্যাসোসিয়েশনের (এপিএ) এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৫ সালে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলো, সহিংস ভিডিও গেইম আর গেইমারদের আগ্রাসী মনোভাবের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন সংস্থাটির গবেষকরা। ঠিক তার পাল্টা দাবিও তুলেছেন দুইশ’র বেশি গবেষক।
২০০৫ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত প্রকাশিত কয়েকশ’ গবেষণা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এপিএ মতামত দিয়েছিলো-- “সহিংস ভিডিও গেইমের সঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ, মনোভাব, সমাজবিরোধী আচরণ এবং সহানুভূতির অভাবের যোগসূত্র পাওয়া গেছে গবেষণা থেকে”। একজন মানুষের সহিংস আচরণের পেছনে অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে কাজ করে এবং সহিংস ভিডিও গেইম তার মধ্যে একটি বলে মন্তব্য করেছিলেন গবেষকরা।
এপিএ’র ওই প্রতিবেদনের সমালোচনা করে খোলা চিঠি লিখেছিলেন দুইশ’র বেশি গবেষক। সংস্থাটির গবেষণা প্রকল্পের খুঁতগুলো চিহ্নিত করে মতবাদের বিরোধী পক্ষ বলেছিলেন, বড় রকমের ত্রুটি আছে গবেষণা পদ্ধতিতে। যে গবেষণা প্রতিবেদনগুলোর ভিত্তিতে মতামত দিয়েছে এপিএ, তার একটা বড় অংশের নির্ভরযোগ্যতাও যাচাই করে দেখা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
গবেষণার অংশ হিসেবে মনোবিদ ও সমাজ বিজ্ঞানীরা যে পরীক্ষাগুলো চালিয়েছেন, সেগুলো সঠিকভাবে একজন মানুষের ব্যক্তিগত আগ্রাসী মনোভাবকে বিচার করে নাকি তার উপর ভিডিও গেইমের প্রভাবকে বিচার করে, এবং পরীক্ষাগুলো এই দুইয়ের মধ্যে স্বচ্ছ সম্পর্ক চিহ্নিত করতে পারে কী না, সেই প্রশ্নও ওঠে।
“আপনি যদি তিন ঘণ্টা ধরে কল অফ ডিউটি (আরেকটি জনপ্রিয় ফার্স্ট পার্সন শুটিং গেইম) খেলেন, তাহলে আপনি উত্তেজিত হবেনই। তারমানে এই নয় যে, আপনি বাইরে বের হয়ে কাউকে পেটাবেন”, যোগ করেন তিনি।
সোজা কথায় বললে, সহিংসতা এবং রক্তরক্তি আছে এমন ভিডিও গেইমগুলো খেললে বাস্তব জীবনেও মানুষ সহিংস হয়ে ওঠে কি না, সেই প্রশ্নে পরিষ্কার বিভক্তি আছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষকদের মধ্যেও।
মলিকিউলার সাইকিয়াট্রি জার্নালে ২০১৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে “সহিংস ভিডিও গেইম খেলার স্থায়ী কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই” বলে মন্তব্য করেছেন গবেষকরা। ওই গবেষণায় অংশ নেওয়া ৯০ জন গেইমার দুটি দলে ভাগ হয়ে জিটিএ ফাইভ এবং সিমস থ্রি, গেইম দুটি খেলেন। আর অংশগ্রহণকারীদের উপর ২০৮টি পরীক্ষা চালান গবেষকরা।
বলে রাখা ভালো, গেইমের ভিতরে সহিংস আচরণ ও রক্তরক্তি কাণ্ডের জন্য বিভিন্ন সময়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে জিটিএ ফাইভ। কেবল রক্তরক্তির হিসেব কষলে, পাবজি জিটিএ ফাইভের থেকে অনেক পিছিয়ে আছে, এমনটা বলতেই হবে। অন্যদিকে সিমস একটি সিমুলেশন গেইম যাতে সহিংস কোনো কিছু নেই বললেই চলে।
দুই মাস ধরে অংশগ্রহণকারীদের গেইম দুটি খেলতে দিয়ে গেইমারদের আচরণ ও ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা। প্রাথমিক ডেটা সংগ্রহ করার পর আরও দুই মাস ধরে অংশগ্রহণকারীদের উপর সহিংস গেইম খেলার কোনো স্থায়ী প্রভাব পড়েছে কি না, সেটিও পর্যবেক্ষণ করেন তারা।
“ডাজ প্লেয়িং ভায়োলেন্ট ভিডিও গেইমস ক'জ এগ্রেশন? এ লংয়িটিউডিনাল স্টাডি” শিরোনামের ওই গবেষণা প্রতিবেদনে গবেষকদের মতামত, “সহিংস ভিডিও গেইম খেলার কোনো নেতিবাচক প্রভাব খুঁজে পাইনি আমরা। এমনকি ২০৮ টি পরীক্ষার মধ্যে কেবল তিনটি পরীক্ষার ফলাফল আমাদের প্রাথমিক অনুমানের সঙ্গে সামজ্ঞস্যপূর্ণ। যেহেতু অন্তত ১০টি পরীক্ষার ফলাফল প্রাথমিক অনুমানের সঙ্গে সামজ্ঞস্যপূর্ণ হবে বলে ধরেই নিয়েছিলাম আমরা, শেষ কথা হিসেবে আমরা এটা বলতে পারি যে সহিংস ভিডিও গেইম খেলার কোনো স্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব নেই”।
সত্যিই তাই?
আবার এ নিয়ে ভিন্ন কথাও বলছেন ভিন্ন গবেষকরা। আক্রমণাত্মক গেইম আর এর মনস্তাস্ত্বিক প্রভাব নিয়ে আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ম্যাট ডেলিসি এবং সেইন্ট লুয়িস ইউনভার্সিটির মাইকেল জি ভন বলছেন, এই জাতীয় যাবতীয় গবেষণার বেশিরভাগই বিশ্বাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর করা হয়, প্রকৃত গেইমারদের ওপর নয়।
গবেষকরা বাসায় নিয়মিত সহিংস ভিডিও গেইম খেলেন এমন ২৫২ জনের উপাত্ত নিয়ে দেখান যে, বেশ কিছু সাইকোপ্যাথিক বৈশিষ্ট্য হিংস্র গেইমের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
পাবজি খেলায় সমস্যা কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গেইম আসক্তিকে মানসিক সমস্যা বলে চিহ্নিত করেছে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি। ফলে, যে কোনো গেইমের জনপ্রিয়তা যদি আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়, সেটি চিন্তার কারণ তো বটেই, তা সে পাবজি হোক বা অন্য কোনো গেইম।
ডব্লিউএইচও বলছে, ভিডিও গেইম আসক্তি উদ্বেগ ও হতাশা বাড়াতে পারে। লম্বা সময় ধরে একাধিক গেইম নিয়ে মেতে থাকলে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার কারণ হতে পারে তা। নেতিবাচক প্রভাব পড়ে স্বাভাবিক ঘুমের নিয়মে।
এর পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু পরোক্ষ বিষয়। যখন কোনো কারণে নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ পর্দায় তাকিয়ে থাকতে হয়, অন্য সব কিছু ভুলে একটি বিষয়ে মনোসংযোগ করতে হয়, সেটিও তৈরি করে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সেটি কেমন?
ভারতের মেডিকভার হসপিটালস এই পাবজি গেইম আসক্তি বিষয়েই তাদের সাইটে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলছে। আসুন দেখে নেই সে তালিকাটি-
দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা
দীর্ঘ সময়ের জন্য পাবজি খেলা স্বাস্থ্যের উপর কিছু ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। লম্বা সময় ধরে মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা বিপজ্জনক হতে পারে। কখনও এটি মাইগ্রেইন এবং মাথাব্যথার কারণও হতে পারে। গেইমটি ক্রমাগত খেলার প্রভাবে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হতে পারে।
ঘাড় ব্যথা
অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে বসে থাকা ঘাড়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পাবজি খেলার সময় যদি আপনি একটি অসম অবস্থানে বসে থাকেন তবে এটি সার্ভিকাল স্পন্ডিলাইটিসের কারণ হতে পারে।
অবসাদ এবং দুর্বলতা
দীর্ঘ সময় ধরে খেলা ও স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়ার ফলে দুর্বলতা হতে পারে। গেইম আসক্তি কেবল খাওয়ার রুটিনে ব্যাঘাত ঘটায় না, এতে ঘুমের অনিয়মও তৈরি হয়।
মানসিক প্রভাব
আসক্তি মস্তিষ্কে কিছু গুরুতর প্রভাব ফেলে। যারা ক্রমাগত গেইম খেলেন তারা আরও বেশি বেশি গেইম খেলার তাগিদ পান। যার প্রভাব পড়ে দৈনন্দিন অন্য সব কাজের বেলায় এমনকি পেশাগত জীবনেও।
মুড সুয়িং
তবে, উল্লিখিত এই তালিকার প্রায় সবগুলোই একদিকে যেমন কেবল ‘পাবজি কেন্দ্রীক’ নয়, যে কোনো আসক্তিতেই এমনটা হতে পারে, তেমনি হালে এই সমস্যাগুলোর সঙ্গে এই গেইমটির নামই বারবার উঠে আসছে সেটাও সত্যি।
অভিভাবকদের কী করণীয়?
আদালতের আদেশ পাওয়ার পর বাংলাদেশে পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মত ‘বিপজ্জনক’ ইন্টারনেট গেইমের লিংক বন্ধ করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি।
তারপরও গেইম দুটি দেশে একেবারেই বন্ধ করা সম্ভব কি না সেই প্রশ্ন রয়েই যায়। বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ভিপিএন সফটওয়্যার ব্যবহার করে সরকারি বিধি-নিষেধ পাশ কাটিয়ে গেইমদুটি খেলার সুযোগও এড়িয়ে যাওয়ার মতো বিষয় নয়। এমন পরিস্থিতিতে গুরুত্ব পাচ্ছে অভিভাবকদের কী করণীয় সেই বিষয়টি।
শিশু বা কিশোর বয়সী গেইমারদের ক্ষেত্রে খানিকটা নজরদারি আর খানিকটা অভিভাবক সুলভ কৌশল খাটানোর পরামর্শ দিয়েছে হার্ভার্ড মেডিকাল স্কুল। ভিডিও গেইমসের কোনো স্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব আছে কী না, সেই প্রশ্নে গবেষক-বিশেষজ্ঞ মহল বা আদালত পাড়ায় বিতর্ক থাকলেও, শিশুর নিরাপত্তা ও মনস্ত্বাত্তিক বেড়ে উঠা নিয়ে অভিভাবকরা যে চিন্তিত হবেন, সেটি প্রত্যাশিত। এক্ষেত্রে সন্তানকে নিরাপদে রাখতে সহজ কিছু পদক্ষেপ বাতলে দিয়েছে হার্ভার্ডের নিজস্ব প্রকাশনা।
১. আপনার সন্তান যে ভিডিও গেইমটি খেলছে তার ইএসআরবি রেটিং দেখে নিন। গেইমে কোন ধরনের কন্টেন্ট আছে সেটি জানা যায় ইএসআরবি রেটিং থেকে।
২. গেইমের কন্টেন্ট আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য সন্তানের সঙ্গে নিজেও গেইম খেলুন। দেখুন আপনার সন্তান কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।
৩. ভিডিও গেইম কনসোল বা কম্পিউটার সন্তানের ঘরে না রেখে বাড়ির এমন জায়গায় রাখুন যেন সেটি বাড়ির সবার সামনেই থাকে।
৪. গেইম খেলার সময় নির্দিষ্ট করে দিন। দৈনিক দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয় গেইম খেলার জন্য বরাদ্দ সময়।
৫. সন্তানকে অনলাইনে ব্যস্ত থাকার বদলে মাঠে খেলতে উদ্বুদ্ধ করুন।
ভিডিও গেইমের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বিতর্ক যেমন আছে, তেমনি বিনোদনের উৎস হিসেবেও এই প্রযুক্তি এখন স্বীকৃতও। ক্ষেত্রবিশেষে এর ‘ঝুঁকিপূর্ণ প্রভাবের ভুক্তভোগী’ হওয়ার আশঙ্কা এড়াতে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক রাখা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে হার্ভার্ড মেডিকাল স্কুল।
সংশ্লিষ্ট খবর