ছয় বিটকয়েনে ‘মিলবে’ তিন কোটি টি মোবাইল গ্রাহকের ডেটা

আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান টি-মোবাইলের ১০ কোটি গ্রাহকের ডেটা চুরির দাবি করেছে এক হ্যাকার। অনলাইনের এক ফোরামে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে ওই ডেটার একটি অংশ। দাম চাওয়া হয়েছে ছয় বিটকয়েন; বর্তমান বাজার মূল্যের হিসেবে যা প্রায় দুই লাখ ৭০ হাজার ডলার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2021, 11:09 AM
Updated : 16 August 2021, 11:09 AM

ওই ফোরাম পোস্টের দাবি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে টি-মোবাইল। ফোরাম পোস্টের কোথাও টি-মোবাইলের নাম উল্লেখ না থাকলেও, বিক্রির জন্য তোলা ডেটা টি-মোবাইলের সার্ভার থেকেই এসেছে বলে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট মাদারবোর্ডকে নিশ্চিত করেছে ওই হ্যাকার।

বিক্রির জন্য তোলা ডেটার মধ্যে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ঠিকানা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, আইএমইআই নম্বর, নাম, ফোন নম্বর এমনকি সোশাল সিকিউরিটি নম্বরও আছে বলে দাবি করেছে ওই হ্যাকার। ডেটার নমুনা নিয়ে সেটি যে টি-মোবাইল গ্রাহকদের, সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে মাদারবোর্ড।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইটটির সঙ্গে এক অনলাইন আলাপচারিতায় ওই হ্যাকারের দাবি, “টি-মোবাইল ইউএসএ, ফুল কাস্টমার ইনফো” আছে তার কাছে। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক সার্ভারে অনুপ্রবেশের দাবিও করেন তিনি।

ওই ফোরামে তিন কোটি গ্রাহকের সোশাল সিকিউরিটি নম্বর ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ছয় বিটকয়েন বা দুই লাখ ৭০ হাজার ডলার দাম হেঁকেছে ওই হ্যাকার। চুরি করার ডেটার বাকি অংশ আলাদা করে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই ঘটনায় টি-মোবাইলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ওই হ্যাকার বলেন, “আমার মনে হয় তারা বুঝে ফেলেছে ব্যাপারটা, কারণ ব্যাকডোর সার্ভারগুলোতে আর ঢুকতে পারছি না আমরা”।

সার্ভারে আর ঢুকতে না পারলেও ইতোমধ্যেই সব ডেটা ডাউনলোড করে নেওয়ার দাবি করে বিক্রেতা হ্যাকার বলছে, “একাধিক জায়গায় এর ব্যাকআপ রাখা আছে।”

এই প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে টি-মোবাইল বলেছে, “একটি আন্ডারগ্রাউন্ড ফোরামে তোলা দাবি সম্পর্কে আমরা অবহিত আছি এবং দাবির সত্যতা নিয়ে তদন্ত করছি। জানানোর মতো বাড়তি আর কোনো তথ্য এই মুহূর্তে নেই আমাদের কাছে।”

কী পরিমাণ ডেটা বেহাত হয়েছে অথবা গ্রাহকদের কোন কোন ডেটা হ্যাকাররা কপি করে নিয়েছে, সেই বিষয়ে মুখ খোলেনি টি-মোবাইল।

আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ খাতে বহুল পরিচিত একটি প্রতিষ্ঠান টি-মোবাইল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জার্মানি, পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে ব্যবসা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।