আক্ষরিক অর্থেই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টুইটার

অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নকশায় আপডেট এনেছিলো টুইটার। এরপর মাইগ্রেইন, মাথা ব্যথা ও চোখের উপর বাড়তি চাপের অভিযোগ উঠেছে ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে। এখন ওইসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিজাইনে আবারও পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2021, 10:27 AM
Updated : 16 August 2021, 10:27 AM

ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, রঙিন বাটন এবং লিংকের বাড়তি উজ্জ্বলতার কারণেই নানা শারীরিক জটিলতার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। অসন্তোষ আছে নতুন ফন্টের ব্যবহার নিয়েও। এসব অভিযোগের মুখে টুইটার আবারও বাটন কনট্রাস্টসহ ডিজাইনে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।

বাটন কনট্রাস্টে যে পরিবর্তনগুলো এসেছে তার মধ্যে কালো ফলো বাটন নিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সাইটটি। তবে এই ফিচারটির ক্ষেত্রে টুইটার কোনো পরিবর্তন আনবে কি না, সেই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।

যে কোনো জনপ্রিয় সাইটে বড় কোনো পরিবর্তন আসলে সেটি নিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হবে--এটি একটি প্রত্যাশিত ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছে ভার্জ। কিছু দিন পরে ব্যবহারকারীদের একটা অংশ হয়তো নতুন পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়েও নিতেন।

তবে প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে ব্যবহারকারীদের নিজের পছন্দে কিছু করার সুযোগ যে নেই বললেই চলে--সাম্প্রতিক ঘটনায় এই বিষয়টাই উঠে এসেছে। ওয়েবসাইট বা অ্যাপের ডিজাইন নিয়ে সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতেই থাকে। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের পছন্দ-অপছন্দ জানানো বা মতামত দেওয়ার কোনো উপায় সাধারণত থাকে না।

‘অ্যাক্সেসিবিলিটি’ প্রশ্নে সবার জন্য একই উত্তর প্রত্যাশা করার সুযোগও নেই। কোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপের একটি ফিচার হয়তো কোনো ব্যবহারকারীর জন্য ওই সেবার ব্যবহার সহজ করে দেয়। ওই একই ফিচারের কারণে পুরো সেবা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন ভিন্ন একজন ব্যবহারকারী।

বাটন ও লিংকে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারের ফলে টু্ইটার পোস্টগুলো হয়তো সহজে পড়তে পারবেন দুর্বল বর্ণ শনাক্ত ক্ষমতা ও দৃষ্টি শক্তির ব্যবহারকারীরা। কিন্তু উজ্জ্বল রং বা আলোর প্রতি স্পর্শকাতর ব্যবহারকারীদের জন্য ওই একই ফিচার শারীরিক জটিলতার কারণ হতে পারে।

টুইটার ইন্টারফেইসের ক্ষেত্রে সবার জন্য সমানভাবে খাটবে এমন একক কোনো সমাধান নেই। তবে ডিজাইন ফিচারগুলো নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো কিছুটা নমনীয় হলে জটিলতা নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে অনেকটাই।

বর্তমানে, টুইটারের ‘অ্যাক্সেসিবিলিটি’ মেনু থেকে রঙের উজ্জ্বলতা কমানো-বাড়ানোর সেটিং অ্যাক্সেস করতে পারেন ব্যবহারকারী। এ ছাড়াও ডিসপ্লে সেটিং থেকে ডার্ক বা লাইট থিম বেছে নিতে পারেন তারা। টেক্সট বা লেখার আকারও বড় ছোট করা যায় ডিসপ্লে সেটিং থেকে।

পুরো প্ল্যাটফর্মে একবারে বড় পরিবর্তন আনার বদলে, ব্যবহারকারীদের হাতে নিজের প্রয়োজন মতো ছোট ছোট পরিবর্তনের সুযোগ থাকলে, তার ফলাফলই শ্রেয় হতো বলে মন্তব্য করেছে ভার্জ। এই প্রসঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না দিলেও নিজস্ব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আপাতত গ্রাহকদের মতামত নিচ্ছে টুইটার।