ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির দাবি, কিশোর-কিশোরীদের ঘুম, বিশ্রাম আর পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে সাহায্য করার জন্য এই পদক্ষেপ এলো। ডিফল্ট সেটিংয়েও পরিবর্তন আনছে অ্যাপটি। ডিরেক্ট মেসেজ পেতে চাইলে সেটিংস থেকে ওই ফিচার চালু করে নিতে হবে ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীদের।
“আমরা আমাদের অল্প বয়সী ব্যবহারকারীদের শুরু থেকেই ইতিবাচক ডিজিটাল অভ্যাস গড়তে সাহায্য করতে চাই”, বলেছে টিকটক।
এর আগের ঘোষণায় প্রতিষ্ঠানটি ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য ডিরেক্ট মেসেজ ফিচার বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছিলো। বর্তমানে, ১৬ এবং ১৭ বছর বয়সীদের ডিরেক্ট মেসেজ সেবায় ডিফল্ট হিসেবে ‘নো-ওয়ান’ ঠিক করা থাকে। অন্যদের মেসেজ দিতে চাইলে ভিন্ন শেয়ারিং অপশন চালু করতে হয় ওই ব্যবহারকারীদের।
বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমান ব্যবহারকারীদের মেসেজ পাঠানোর সময় প্রাইভেসি সেটিং পুনর্বিবেচনা করে নিশ্চিত করতে বলবে টিকটক।
এ ছাড়াও ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারী নিজের প্রথম টিকটক শেয়ার করার সময় কারা ওই ভিডিও দেখবেন, সেটি ঠিক করে দিতে বলবে টিকটক। তারা অপশন পাবেন তিনটি; ফলোয়ার, বন্ধু অথবা শুধু নিজের জন্যেও রেখে দেওয়া যাবে ভিডিওগুলো।
টিকটকের এই পদক্ষেপগুলোতে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ‘ন্যাশনাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু চিলড্রেন’-এর অনলাইন শিশু নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান অ্যান্ডি বারোস। টিকটক এই শিল্পে ‘নেতৃত্বশীল’ আচরণ করছে এবং এতে শিশুদের ক্ষতি করার সুযোগ হ্রাস পাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
তবে টিকটকসহ একাধিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপের পেছনে নতুন একটি নীতিমালার প্রভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বারোস।
সম্প্রতি ‘ইউটিউব কিডস’-এ পরিবর্তন এনেছে গুগল। এ ছাড়াও ইমেজ সার্চ থেকে শিশুদের ছবি সরিয়ে ফেলার সেবা চালু করেছে ওই সার্চ জায়ান্ট। প্রায় একই সময়ে শিশু নিপীড়নের কন্টেন্ট চিহ্নিত করার নতুন টুলের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল।
এই প্রসঙ্গে বারোস আরও বলেন, “শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন যে ঘোষণাগুলো গত কয়েক সপ্তাহে এসেছে তার পেছনের চালিকাশক্তি হচ্ছে ‘এজ অ্যাপ্রোপ্রিয়েট ডিজাইন কোড’ যা আগামী মাসে কার্যকর হবে এবং শিশুদের নিরাপত্তার উপর নীতিমালার যে ইতিবাচক প্রভাব আছে এসব তারই প্রমাণ দিচ্ছে।”