স্মরণকালের বৃহত্তম ক্রিপ্টো হ্যাকিংয়ে হাপিস ৬০ কোটি ডলার

ব্লকচেইন সাইট পলি নেটওয়ার্কে আক্রমণ করে ৬০ কোটি ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। একে স্বরণকালের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরির ঘটনা বলে বর্ণনা করছেন এই খাত সংশ্লিষ্টরা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2021, 08:19 AM
Updated : 11 August 2021, 12:00 PM

বিবিসি জানিয়েছে, কম্পিউটার সিস্টেমের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে হ্যাকারদের কয়েক হাজার ডিজিটাল টোকেন চুরির খবর নিশ্চিত করেছে পলি নেটওয়ার্ক। এক টুইট পোস্টে হ্যাকারদের “যোগাযোগ স্থাপন এবং হাতিয়ে নেওয়া সম্পদ ফেরত” দিতেও বলেছে সাইটটি।

টুইটারে হ্যাকারদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি পোস্ট করেছে পলি নেটওয়ার্ক। তাতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, “ আপনারা যে পরিমান অর্থ চুরি করেছেন তা বিকেন্দ্রিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চুরির ঘটনার মধ্যে একটি।”

“যে কোনো দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একে একটি বড় আর্থিক অপরাধ বলে বিবেচনা করবে এবং আপনাদের ধরার চেষ্টা করবে। আপনার যে অর্থ চুরি করেছেন তা ক্রিপ্টো কমিউনিটির হাজারো মানুষের।”

প্রাথমিক তদন্তের পর পলি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, হ্যাকাররা “কনট্র্যাক্ট কলে দুর্বলতার’ সুযোগ নিয়েছে।

বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটে কয়েক লাখ ডলার স্থানান্তরের পর এক্সচেঞ্জ সাইটগুলোকে বিটকয়েন জমা নেওয়া বন্ধ রাখতে বলেছে সাইটটি।

চুরি হওয়া ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে ছিলো ২৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার সমমূল্যের ইথার মুদ্রা, ২৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের বাইন্যান্স কয়েন এবং প্রায় আট কোটি ৫০ লাখ ডলারের ইউএসডিসি টোকেন।

হ্যাকিংয়ের ঘটনার ব্যাপারে অবহিত থাকলেও তাদের আদতে বেশি কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন বাইন্যান্সের প্রধান নির্বাহী চ্যাংপেং ঝাও।

এমন পরিস্থিতিতে সাহায্য করার জন্য “নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কাজ চলছে” বলে জানিয়েছেন তিনি।

পলি নেটওয়ার্ককে বলা হয়ে বিকেন্দ্রিক আর্থিক লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম বা ডিসেন্ট্রালাইজড ফাইন্যান্স (ডিফাই) সেবাদাতা। একটি ব্লকচেইনের টোকেন অন্য নেটওয়ার্কে পাঠানোর সেবা দিয়ে থাকে সাইটটি।

ইথার এবং বাইন্যান্সের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোর উদ্ভাবন ও নির্মাণ কাজ হয়েছে স্বাধীনভাবে। তাই সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে জটিলতার মুখে পড়ে ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো।

অন্যদিকে ‘ডিফাই’ খাতে এখন আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ অন্য যে কোনো সময়ের থেকে বেশি বলে জানিয়েছে বিবিসি। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ৪৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে গবেষণা সংস্থা সাইফারট্রেস।

তবে ২০২১ সালে এসে পুরো পুরো ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতের সার্বিক আর্থিক ক্ষতি ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ২০১৯ ও ২০২০ সালে ওই খাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিলো যথাক্রমে ৪৫০ কোটি ডলার এবং ১৯০ কোটি ডলার।