‘ট্যাবলি’ নামের ওই অ্যাপটি তৈরি করেছে পশু স্বাস্থ্য ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিলভেস্টার ডটএআই। ছবি তোলার সময় ট্যাবলি বিড়ালের কান এবং মাথার অবস্থান দেখে, চোখ কতোটা ছোট করছে তা বোঝার চেষ্টা করে, কোনো উত্তেজনা আছে কি না তা খতিয়ে দেখে এবং বিড়ালের গোঁফের পরিবর্তনের বিষয়টি আমলে নেয়। এগুলোর ভিত্তিতে অ্যাপটি বোঝার চেষ্টা করে বিড়াল কোনো ধরনের কষ্ট পাচ্ছে কি না।
সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে ২০১৯ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে এসেছিল ‘ফিলাইন গ্রিমেন্স স্কেল’ বা এফজিএস বিড়ালের তীব্র ব্যথা নির্ণয়ের জন্য যৌক্তিক এবং নির্ভরযোগ্য একটি টুল।
অন্যদিকে, অ্যাপটি তরুণ পশু চিকিৎসকদের সহায়তা করবে বলে মনে করছেন ওয়াইল্ড রোজ ক্যাট ক্লিনিকের চিকিৎসক লিজ রুয়েল। অ্যাপের অ্যালগরিদমের প্রশিক্ষণের জন্য ডেভেলপাররা ওই ক্লিনিকটিকে বেছে নিয়েছিলেন।
“আমি বিড়াল নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসি, বিড়ালের সঙ্গেই বেড়ে উঠেছি। অন্যান্য সহকর্মীরা, যারা নতুন স্নাতক, যাদের হয়তো এ ব্যাপারে বেশি অভিজ্ঞতা নেই, তাদের জন্য এটি জানা জরুরি যে – আপনার রোগী কষ্টে আছে কি না?”
“যেসব বিড়াল উদ্বিগ্ন বা ভীত থাকে তারা লেজ শক্ত করে রাখে এবং নিজেদের কাছে কঠিন করে রাখে। এ বিষয়গুলো ছাড়াও, তারা কী খাচ্ছে, পান করছে, কীভাবে মলত্যাগ করছে, ঘুমাচ্ছে সে ব্যাপারগুলোও নিয়ে ভাবনার বিষয় রয়েছে যে তারা সাধারণত ওরকম করে কি না?” – বলেছে আরএসপিসিএ।