এক মার্কিন আদালতে তিনি বলেন, “আমি বরং এটি খুবই অপছন্দ করি। আমি নকশা আর প্রকৌশলেই বরং আমার সময় কাটাতে চাইবো।”
টেসলার এই বিলিয়নেয়ার প্রতিষ্ঠাতা আদালতে একটি বিচারের শুরুতে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। দুইশ’ ৬০ কোটি ডলারে একটি সোলার প্যানেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কেনার জন্য টেসলার বোর্ড সদস্যদের চাপ দিয়েছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আদালতে।
টেসলা যখন অর্থের সঙ্কটে পড়ছে তখন সোলারসিটি কেনার জন্য গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির অর্থ অপচয় করা হয়েছিল-- টেসলার শেয়ারধারীরা এমন দাবি করছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
চুক্তির সময় মি. মাস্ক টেসলা এবং সৌর প্যানেল কোম্পানি উভয়েরই শতকরা ২২ ভাগের মালিক ছিলেন। সোলারসিটির প্রতিষ্ঠাতারা সবাই ইলন মাস্কের কাজিন।
মাস্ক বলেন, “এটি স্টক-ফর-স্টক লেনদেন ছিল এবং আমি দুই প্রতিষ্ঠানেরই প্রায় একই শতাংশের মালিক ছিলাম। ফলে এই লেনদেন থেকে আমি আর্থিকভাবে লাভবান হইনি।”
‘সবই মাস্টার প্ল্যানের অংশ’
তিনি বোর্ড সদস্যদের উপর চাপ প্রয়োগের বিষয়টিও অস্বীকার করে বলেন, এই চুক্তি পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সরবরাহসহ সাশ্রয়ী মূল্যের যানবাহন তৈরির একটি “মাস্টার প্ল্যানের” অংশ।
টেসলা শেয়ারধারীরা চাইছেন এখন ইলন মাস্ক যেন টেসলাকে ওই চুক্তির পেছনে খরচ হওয়া দুইশ' ৬০ কোটি ডলারের পুরোটাই ফেরত দেন। সেটি ঘটানো সম্ভব হলে এই মামলা কোনো একক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অর্থমূল্যের রায় হবে। ফোর্বস সাময়িকীর হিসাব মতে ইলন মাস্কের সম্পদের মোট মূল এখন ১৬ হাজার আটশ' কোটি ডলার।
এই একই চুক্তি নিয়ে গত বছর টেসলার অন্যান্য বোর্ড সদস্যরা ৬০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে অপর একটি মামলা ফয়সালা করেন। ওই বোর্ড সদস্যরা মি. মাস্ককে মামলা থেকে রেহাই দিয়েছিলেন এবং তারা কোনও অন্যায় স্বীকার করেননি।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলছেন, বিনিয়োগকারীরা এই মামলাটির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখবেন।
তিনি এক নোটে উল্লেখ করেছেন, সোলারসিটি চুক্তিটি মি. মাস্ক এবং টেসলা উভয়ের জন্যই একটি “লজ্জ্বার বিষয়” এবং টেসলার উত্থানে একটি “অন্ধকার অধ্যায়” হয়েই থাকবে।
এরপরও, সোমবার টেসলার শেয়ার মূল্য শতকরা চার ভাগেরও বেশি বেড়েছে।
বিচারটির ফয়সালা দুই সপ্তাহের মধ্যে স্থায়ী হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী রান্ডাল ব্যারন ইলন মাস্ককে সতর্ক করে বলেন, যে ডেলাওয়্যার চান্সরি কোর্টে যে মামলার শুনানি হচ্ছে সেটি তার জন্য সহজ হবে না।
ওই আইনজীবীর তৈরি করা নথির একটি পুরু ফোল্ডারের দিকে ইঙ্গিত করে মাস্ক উত্তর দেন, “সেটি তো আমি ফেল্ডারের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারছি।”
আরও পড়ুন: