সমঝোতায় পেটেন্ট মামলা তুললো হুয়াওয়ে-ভেরাইজন

পেটেন্ট লঙ্ঘনকে কেন্দ্র করে মামলা চলছিল চীনা টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভেরাইজন কমিউনিকেশনসের মধ্যে। সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে আইনি লড়াই থেকে সরে এসেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2021, 10:33 AM
Updated : 13 July 2021, 10:33 AM

সোমবার এ ব্যাপারে জানিয়েছে ভেরাইজন ও হুয়াওয়ে। সমঝোতার ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। পেটেন্ট লঙ্ঘন সম্পর্কিত ওই দুই মামলার একটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত সপ্তাহে।

সমঝোতার পর হুয়াওয়ে ও ভেরাইজন দুই প্রতিষ্ঠানই মামলা দুটি খারিজের আবেদন জানিয়েছে। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, রোববার শেষ ভাগে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের দুই আদালতে আবেদন জানানো হয়।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভেরাইজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয় হুয়াওয়ে। সে সময় চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, কোনো অনুমতি ছাড়াই হুয়াওয়ের এক ডজন পেটেন্ট ব্যবহার করেছে ভেরাইজন। এর মধ্যে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডাউনলোড নিরাপত্তা, ভিডিও কমিউনিকেশনের মতো খাতগুলো রয়েছে। এ ঘটনায় অনির্দিষ্ট অঙ্কের ক্ষতিপূর্ণ ও র‌য়্যালিটি দাবি করে হুয়াওয়ে।     

সাম্প্রতিক সমঝোতা প্রসঙ্গে ভেরাইজন বলেছে, “হুয়াওয়ের সঙ্গে পেটেন্ট সংক্রান্ত মামলা নিয়ে সমঝোতায় আসতে পেরে সন্তুষ্ট। সমঝোতার শর্ত প্রকাশ না করা হলেও, আমাদের দল অসাধারণ একটি কাজ করেছে এই দীর্ঘায়িত ব্যাপারটির সমাধান করে।”

অন্যদিকে, হুয়াওয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা “ভেরাইজন ও হুয়াওয়ের সমঝোতায় পৌঁছানো নিয়ে সন্তুষ্ট যা প্রতিষ্ঠানের পেটেন্ট মামলাকে শেষ করছে। সমঝোতার শর্ত গোপনীয়।”

হুয়াওয়ে উল্লেখ করেছে, তাদের “বিশ্বব্যাপী এক লাখেরও বেশি সক্রিয় পেটেন্ট রয়েছে, এর মধ্যে দশ হাজার পেটেন্ট রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।”

ভেরাইজন গত বছর পাল্টা অভিযোগ তুলেছিল হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, হুয়াওয়ে ভেরাইজনের একাধিক পেটেন্ট লঙ্ঘন করেছে। অন্যদিকে গত বছর হুয়াওয়ে বলেছিল, তারা শুধু “ভেরাইজনকে হুয়াওয়ের গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগকে সম্মান করতে বলছে পেটেন্টের জন্য অর্থ প্রদানের মাধ্যমে বা তা ব্যবহার থেকে বিরত থেকে।”

কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন দ্বন্দ্বের মাঝে আটকে রয়েছে হুয়াওয়ে। ২০১৯ সালে চীনা প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই বছরের জুনে রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, ভেরাইজনের কাছে ২৩০টিরও বেশি হুয়াওয়ে পেটেন্টের লাইসেন্স ফি চেয়েছে তারা। এ জন্য মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির কাছে একশ’ কোটি ডলার দাবি করেছিল হুয়াওয়ে।