সর্বশেষ এই বিনিয়োগ সংগ্রহের ফলে ২০১৮ সালে যে মূল্যে ওয়ালমার্ট ফ্লিপকার্টের শতকরা ৭৭ ভাগ শেয়ার কিনেছিল এখন প্রতিষ্ঠানটির মূল্য তার দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ওই শেয়ার হাতবদলের পর ফ্লিপকার্ট ভারতের বিভিন্ন শহরে নিজেদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে, পণ্য তালিকা বড় করেছে, আসবাব এবং মুদি পণ্যের মতো বিষয় যোগ করেছে এবং সব কিছু মিলিয়ে বড় হয়েছে গুদামের সংখ্যা। এর সব কিছুই হয়েছে অ্যামাজনের ভারত ইউনিটের সঙ্গে প্রতিযোগিতার কারণে।
ব্যাঙ্গালুরুভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির এখনকার লক্ষ্য হচ্ছে শেয়ার বাজারে নাম লেখানোর মাধ্যমে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের কোম্পানি হওয়া।
প্রতিষ্ঠানটির একেবারে নতুন এই বিনিয়োগ রাউন্ডের নেতৃত্বে ছিল জিআইসি, কানাডা পেনশন প্ল্যান ইনভেস্টমেন্ট বোর্ড, সফটব্যাংক ভিশন ফান্ড টু এবং ওয়ালমার্ট। এর মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগকারীর তালিকায় ফিরলো সফটব্যাংক।
সফটব্যাংক ২০১৮ সালের মালিকানা বদলের সময় নিজেদের শতকরা ২০ ভাগ শেয়ার ওয়ালমার্টের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল।
“আসন্ন দশকগুলোয় ভারতীয় গ্রাহকদের প্রয়োজন মেটানোর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা দলটির সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা এবং বিবেচনার ফলাফল হলো ফ্লিপকার্টে সফটব্যাঙ্কের নতুন বিনিয়োগ” - বলেন সফটব্যাঙ্ক ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজরের অংশীদার লিডিয়া জেট।
প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যামাজনের মতোই ফ্লিপকার্টের শুরু বই বিক্রির মাধ্যমে। এরপর দ্রুতই প্রতিষ্ঠানটি স্মার্টফোন, পোশাক ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি করতে শুরু করে।
“লাখ লাখ ভারতীয় ক্ষুদ্র ও মধ্যম শ্রেণির ব্যবসায়ীর উন্নতির ওপর আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখবো।” - এক লিখিত বক্তব্যে বলেন ফ্লিপকার্টের প্রধান নির্বাহী কল্যাণ কৃষ্ণমূর্তি।
ভারতে লোকজনের স্মার্টফোন ব্যবহার বাড়ানো এবং মোবাইল ডেটা সস্তা হওয়ায় মুদি পণ্য থেকে শুরু করে প্রসাধনী, স্মার্টফোন এমনকি অবকাশও উঠে এসেছে স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিক্রয়যোগ্য পণ্যের তালিকায়।
এই অবস্থায় ভারতীয় বেশ কিছু স্টার্টআপ বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় হিসেবে শেয়ার বাজরে যাওয়াকে বিবেচনা করছে। এর মধ্যে আছে খাবার সরবরাহ প্রতিষ্ঠান জোমাটো, আর্থিক সেবা পে-টিএম, সৌন্দর্যবিষয়ক ব্র্যান্ড নায়িকা এবং রাইড হেইলিং সেবা ওলা।
ভারতে এ বছর জুলাইয়ের ৯ তারিখ পর্যন্ত ২২টি প্রতিষ্ঠান শেয়াার বাজারে নাম নিবন্ধন করেছে যাদের সম্মিলিত আইপিও'র অঙ্ক ছিল তিন হাজার ছয়শ' কোটি মার্কিন ডলার। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে এই অঙ্কটিই ছিল এক হাজার একশ' কোটি ডলার।