রোববার, ৪ জুলাই সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এই গ্রান্ড ফাইনাল এবং এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
সারাদেশ থেকে ৬০টিরও বেশি উদ্ভাবনধর্মী ফ্রিল্যান্সিং আইডিয়া নিয়ে প্রতিযোগিরা এতে অংশ নেন বলে জানিয়েছে অন্যতম আয়োজক প্রতিষ্ঠান কোডর্সট্রাস্ট।
প্রতিযোগিতায় দুটি রাউন্ডের মাধ্যমে প্রথমে সেরা দশ এবং ফাইনাল রাউন্ডের জন্য সেরা পাঁচটি দলকে বাছাই করা হয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রান্ড ফাইনালে দলগুলো তাদের ধারণা ও বাণিজ্যিক পরিকল্পনা বিচারকদের সামনে তুলে ধরে।
বিচারকরা প্রকল্পগুলো কতটা প্রয়োগযোগ্য, এর প্রভাব কী হতে পারে, এতে ব্যবসা, সেবা কিংবা প্রযুক্তির প্রয়োগ কিভাবে হবে, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ও কৌশল কেমন হবে এবং সার্বিকভাবে এটা মানব উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে তার নিরীখে মূল্যায়ন করেন।
ফাতেমা মোস্তারী একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাফিক ডিজাইনারদের বিশ্বের গ্লোবাল মার্কেট তথা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে আনার একটি প্রকল্পের কথা জানান।
এদের প্রত্যেকেই পাঁচ হাজার টাকা করে প্রাইজমানি পাচ্ছেন।
প্রতিযোগিতাটির মূল উদ্দেশ্য দেশের ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন সমস্যার সহজ সমাধান খুঁজে বের করা ছিল বলে জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি।
বিজয়ী মোস্তারী বলেন, তিনি তার প্ল্যাটফর্মটি এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাফিক ডিজাইনারদের দের বিশ্বের গ্লোবাল মার্কেটে নিয়ে আসতে চান। গ্রাফিক ডিজাইনারদের পর্যাপ্ত স্কিল ট্রেইনিংয়ের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে যুক্ত করে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনা জানান তিনি।
উইমেন স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস (WSDFM) প্রকল্পের আওতায় ডাচ ফাউন্ডেশন ও কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. আব্দুল করিম। এ ছাড়া নিউ ইয়র্ক থেকে অনলাইনে যুক্ত হন কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ এর কো-ফাউন্ডার ও চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ, কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ এর চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট মোহাম্মদ মাহাদী উজ জামান ও ব্যবসায়ী শাহীদ মালিক।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস অনুষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আকরাম হোসেন। আরও ছিলেন কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ সিনিয়র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হালিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক মাহমুদ মেনন খান।