আদালতের বাইরে সম্পন্ন এই নিষ্পত্তিতে ২০১৮ সালে ঘটে যাওয়া হ্যাকিংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক ও কর্মীদের আনা একটি মামলার মিমাংসা হলো বলে জানিয়েছে রয়টার্স। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পতাকাবাহী এই এয়ারলাইনকে ওই ঘটনায় দুই কোটি পাউন্ড বা দুই কোটি ৭০ লাখ ডলার ক্ষতিপুরণের আদেশ দিয়েছিল ব্রিটিশ তথ্য কমিশনারের অফিস।
আইন সংস্থা পিএমজিএমএম জানিয়েছে, মধ্যস্থতার পরে তথ্য ফাঁসে ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাবেন তবে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক অপ্রকাশ্য থাকবে। মঙ্গলবার এই মামলার আদালত নিযুক্ত প্রধান সলিসিটররা বলেন, এই সমঝোতা অনুসারে ঘটনায় এয়ারলাইন প্রতিষ্ঠানটির দায়বদ্ধতার কোনও স্বীকারোক্তি থাকছে না।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স গ্রুপ (আইএজি) মালিকানাধীন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ২০১৮ সালেই তার নিরাপত্তা ব্যবস্থার লঙ্ঘন প্রকাশ করে। ওই ঘটনায় চার লাখ ২০ হাজার কর্মী ও গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এক ইমেইল বিবৃতিতে এই নিষ্পত্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
গত অক্টোবরে ব্রিটেনের তথ্য কমিশনারের অফিস ব্রিটিশ এয়ারওয়েজকে ২০ মিলিয়ন পাউন্ড (২৭.৭ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা করে। গ্রাহকদের ব্যক্তিগত এবং আর্থিক বিবরণ রক্ষায় ব্যর্থতার দায়ে এটি সেই সময় এই ধরনের সবচেয়ে বড় জরিমানা ছিল।
সমঝোতার পর লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে আইএজি শেয়ার মূল্য শতকরা তিন শতাংশ বেড়েছে।