গত সপ্তাহেই সুইজারল্যান্ডে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি আলোচনায় তোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই আলোচনার সূত্র ধরেই এফএসবি প্রধান আলেকজান্ডার বোর্তনিকভ একসঙ্গে কাজ করা নিয়ে কথা বললেন বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। জানুয়ারিতে বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই ছিল তাদের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।
মস্কোতে এক নিরাপত্তা সম্মেলনে বোর্তনিকভকে উদ্ধৃত করে আরআইএ সংবাদ সংস্থা বলেছে, “আমরা একসঙ্গে কাজ করব (হ্যাকারদের খুঁজে বের করার জন্য) এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আশাবাদী।”
মস্কো সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে পরামর্শের বিষয়ে ওয়াশিংটনের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে, অপর এক জ্যেষ্ঠ্য রাশিয়ান কর্মকর্তা এমন মন্তব্য করেছেন বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা তাস।
বাইডেন শীর্ষ সম্মেলনে পুতিনকে বলেন, মুক্তিপণ চাওয়া সাইবার অপরাধীদের সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য একটি প্রধান মার্কিন পাইপলাইন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো "সাইবার হামলার বাইরে থাকা উচিত ছিল"।
হ্যাকিং হামলার কিছু ক্ষেত্রে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যারা হয় সরাসরি রুশ সরকারের হয়ে বা রাশিয়ার ভূখণ্ডে থেকে কাজ করছে। ক্রেমলিন এই হামলায় রাষ্ট্রের কোন জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
পুতিন এবং বাইডেন ভবিষ্যতে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এবং ঝুঁকি হ্রাসব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপনের চেষ্টা করার জন্য নিয়মিত আলোচনা শুরু করতেসম্মত হন।
২০১৪ সালে মস্কোর ক্রিমিয়ার সংযুক্তি থেকে শুরু করে সিরিয়ার সংঘর্ষ এবং মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হ্যাকিং-এর অভিযোগসহ বিভিন্ন বিষয়ের কারণে পশ্চিমাদের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী অবস্থার মতো রয়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে বলেছে রয়টার্স।