চীনের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ ক্রিপ্টোকারেন্সি

ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর চীন তার দমননীতি আরও বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক পদক্ষেপে দেশটি ব্যাংক এবং পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মগুলিকে ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেনসমর্থন বন্ধ করতে বলেছে।

প্রযুক্তি ডেস্ক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2021, 02:04 PM
Updated : 22 June 2021, 02:04 PM

শুক্রবার সিচুয়ান প্রদেশে বিটকয়েন মাইনিং কার্যক্রম বন্ধ করার আদেশ দেওয়ার পরপরই এই নির্দেশনা এলো। সোমবার বিটকয়েনের মূল্যে ১০ শতাংশেরও বেশি পতনের পর মঙ্গলবার এশিয়ান ট্রেডিংয়ে এটি স্থিতিশীল হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

এপ্রিলে প্রতিটি বিটকয়েনের মূল্য রেকর্ড ৬৩ হাজার মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর পর থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য এখন পর্যন্ত সেখান থেকে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

সোমবার চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অফ চায়না (পিবিওসি) বলেছে, তারা সম্প্রতি বেশ কয়েকটি প্রধান ব্যাংক এবং পেমেন্ট কোম্পানিকে তলব করেছে। এর মাধ্যমে সংস্থাটি ক্রিপ্টোকারেন্সি'র ব্যবসা নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

পিবিওসি এক বিবৃতিতে বলেছে, “ব্যাংকগুলিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন সংশ্লিষ্ট ট্রেডিং, ক্লিয়ারিং এবং নিষ্পত্তির মতো পণ্য বা পরিষেবা দিতে নিষেধ করা হয়েছে।”

সম্পদের দিক থেকে চীনের তৃতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এগ্রিকালচারাল ব্যাংক অফ চায়না বলছে, তারা পিবিওসির নির্দেশনা অনুসরণ করছে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং এবং লেনদেনের সঙ্গে জড়িত কার্যক্রম নির্মূল করার জন্য ক্লায়েন্টদের উপর যথাযথ চাপ দেবে।

চীনের পোস্টাল সেভিংস ব্যাংকও বলেছে যে, তারা কোনও ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের সুবিধা দেবে না।

চীনা মোবাইল এবং অনলাইন পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম আলিপে, যা আর্থিক প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যান্ট গ্রুপের মালিকানাধীন, তারাও বলেছে, অবৈধ ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন শনাক্ত করতে প্রতিষ্ঠানটি একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা বসাবে।

এর আগে শুক্রবার সিচুয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রদেশের কর্তৃপক্ষ বিটকয়েন মাইনিংয়ের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পরে সর্বশেষ পদক্ষেপটি এলো।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বব্যাপী বিটকয়েন উৎপাদনের প্রায় শতকরা ৬৫ ভাগই ছিল চীনে, যার দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক হিসাবে ছিল সিচুয়ান অঞ্চল।

গত মাসে চীনের মন্ত্রিসভা, স্টেট কাউন্সিল, বলেছে যে তারা আর্থিক ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের একটি প্রচারণার অংশ হিসাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং এবং ট্রেডিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে ডিজিটাল মুদ্রার কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিনিয়োগকারীরা চিন্তিত হওয়ায় অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির দামও পড়ে গিয়েছে।