বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘গেইমিং ডিজঅর্ডার’কে মেডিক্যাল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে ২০১৮ সালে। এর এক বছর পর ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে যুক্তরাজ্যের ওই বিশেষ ক্নিনিকটি। ২০২১ সালে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বিশেষ ওই ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৬ জন। অথচ এক বছর আগে একই সময়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন ১৭ জন।
অন্যদিকে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কর্মরত নাইটিঙ্গেল হাসপাতালও গেইমিং ও প্রযুক্তি আসক্তিজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখেছে। হাসপাতালটি বলছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে জুন এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে প্রযুক্তি আসক্তি নিয়ে তাদের কাছে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নিজ নিজ সন্তানের জন্য এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আর ২০২১ সালে এসে এ জানতে চাওয়ার সংখ্যা চারগুণ হয়েছে।
হাসপাতালটির প্রধান আসক্তি থেরাপিস্ট প্যাট্রিক ম্যাক্সওয়েল জানিয়েছেন, মহামারী উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে গোটা বিষয়টিতে। বিশেষ করে অল্পবয়সী শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তি আসক্তি উপস্থিত হয়েছে গেইমিংয়ের বেশে।
‘রয়্যাল কলেজ অফ সাইক্রিয়াটিস্টস’ এর গেইমিং আসক্তি প্রধান হেনরিডা বোডেন-জোনসের মতে, গেইমিং ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত তরুণ বয়সীদের উপর লকডাউনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ব্যাপারটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেছেন, “অনেক অল্প বয়সী রোগী আমাদেরকে জানিয়েছেন যে কোনো কাঠামোর অনুপস্থিতি তাদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে গেইম খেলতে বাধ্য করেছে, এতে পারিবারিক সময়সহ অন্যের স্বার্থ ও কার্যক্রমে ক্ষতি হওয়া স্বত্ত্বেও। গেইমিং বেড়ে যাওয়ার কারণে পারিবারিক গতিশীলতাতেও পরিবর্তন এসেছে, অভিভাবক অনেক সময় গেইম ব্লক করতে গিয়ে শিশুর ক্ষোভ প্রকাশ এবং শারীরিক আগ্রাসন দেখেছেন।”
“গত বছর আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি রোগী এসেছেন এবং আমরা কীভাবে বড় মাপে অভিভাবক ও শিশু উভয়কে সমর্থন দিব তা এখন আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে।” – যোগ করেছেন তিনি।