নতুন আইনের আওতায় ভারতে টুইটারকে চপেটাঘাত

ভারতে চালু করা নতুন আইটি নীতিমালা টুইটার ইচ্ছাকৃতভাবে মেনে চলছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভারতের প্রযুক্তি মন্ত্রী।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2021, 04:27 PM
Updated : 16 June 2021, 04:27 PM

‘মধ্যস্থতাকারী নির্দেশিকা’ নামে ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা করা নতুন নিয়মাবলী দেশটি ফেইসবুক, এর হোয়াটস অ্যাপ মেসেঞ্জার এবং টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যমের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এনছে বলে উঠে এসেছে রয়টাের্সর প্রতিবেদনে। কোনো আইনী কারণে এই প্ল্যাটফর্মগুলোর কোনো পোস্ট বা শেয়ার দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরিয়ে দেওয়া বা বন্ধ করার ক্ষেত্রে এই নীতিমালা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশি জবাবদিহির মুখোমুখি করতে ভারত সরকারকে সহায়তা করবে।

এই নীতিমালার আওতায় বড় সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলিকে অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা স্থাপন এবং সে লক্ষ্যে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য নিবেদিত নির্বাহী নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে।

এই নীতিমালা না মানলে ভারতের অনিচ্ছাসসত্ত্বেও টুইটারকে সংশ্লিষ্ট পরিণতি ভোগ করতে হবে- ভারতের প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে গত পাঁচ জুন প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করে দিয়েছে বলে এর আগে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

টুইটার মধ্যস্থতাকারী সুরক্ষা (প্ল্যাটফর্মে অন্যের প্রকাশিত মন্তব্যের দায় থেকে মুক্তি) হারিয়েছে কিনা প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ মঙ্গলবার সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। তবে, নতুন আইটি নীতিমালা মেনে চলতে ব্যর্থ হলে টুইটার আর ভারতে ব্যবহারকারীর কনটেন্ট হোস্ট হিসাবে দায়বদ্ধতা থেকে অব্যাহতি চাওয়ার যোগ্য নাও হতে পারে বলে একজন জ্যেষ্ঠ্য সরকারী কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন।

“টুইটার ‘সেইফহারবার প্রভিশনের’ সুবিধা পেতে পারে কি না তা নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন উঠেছে।” এক টুইটে বলেন প্রসাদ, “তবে সহজ সত্য হচ্ছে টুইটার ২৬ মে থেকে কার্যকর হওয়া মধ্যস্থতাকারী নির্দেশিকা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে।”

প্রসাদ আরও বলেন, টুইটার “মধ্যস্থতাকারী নির্দেশিকার ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতার পথ” বেছে নিয়েছে।

মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে টুইটার সাড়া না দিলেও সোমবার প্রতিষ্ঠানটি বলেছে যে তারা ভারতের প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে নিজেদের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত রাখছে।

এতে বলা হয়েছে, “একজন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার রাখা হয়েছে এবং শীঘ্রই মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে বিস্তারিত সরাসরি জানানো হবে।”

“টুইটার নতুন নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

ডিজিটাল কনটেন্ট বিষয়ক নয়া দিল্লিকেন্দ্রীক অধিকার সংগঠন ‘ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন’ বলেছে, নির্বাহী নিয়োগের মতো অসম্মতির অভিযোগে টুইটারের মতো প্রতিষ্ঠান মধ্যস্থতাকারী থাকবে কিনা তা ঠিক করবে দেশটির আদালত, ভারত সরকার নয়।