এই অভিযান দেশটিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের প্রকাশ বলে প্রতিবেদনে বলেছে রয়টার্স। গত মাসেই দেশটির তিনটি সরকারি সংস্থা ক্রিপ্টো সংক্রান্ত আর্থিক ও মূল্যপ্রদান সেবা নিষিদ্ধ করেছে। এর পাশাপাশি চীনের স্টেট কাউন্সিল বা মন্ত্রীপরিষদ দেশটিতে বিটকয়েন মাইনিং ও বাণিজ্যে ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবারের মধ্যে দেশটির পুলিশ বাহিনী অন্তত ১৭০টি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে মানি লন্ডারিং করছিলো।
মন্ত্রণালয় তার অফিশিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে বলেছে, মানিলন্ডারিংয়ে সংশ্লিষ্টরা শতকরা দেড় থেকে পাঁচ শতাংশ কমিশনের বিনিময়ে ক্রিপ্টোএক্সচেঞ্জ ব্যবহার করে অপরাধী চক্রের লেনদেন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তর করে দিত।
চীনে এই ধরনের অপরাধের হার দিন দিন বাড়ছে বলে বুধবার জানিয়েছে দেশটির ‘পেমেন্ট অ্যান্ড ক্লিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন’।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, “ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে যেহেতু মালিকের নামপরিচয় থাকে না, সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং বৈশিষ্ট্যগতভাবে বৈশ্বিক, ফলে, এক দেশ থেকে আরেক দেশে অবৈধভাবে অর্থ পাঠানোর মাধ্যম হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সির জনপ্রিয়তা দিনদিন বাড়ছে।”
এরইমধ্যে অবৈধ জুয়ায় ব্যবহারের বেলায় ক্রিপ্টোকারেন্সি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখন শতকরা প্রায় ১৩ ভাগ জুয়ার সাইট ক্রিপ্টোকারেন্সি নেয়। সংগঠনটি বলছে ব্লকচেইন প্রযুক্তি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষে লেনদেন অনুসরণ করার কাজটি কঠিন করে দিয়েছে।