বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে সেপ্টেম্বরে

তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবক হতে অনুপ্রাণিত ও সম্পৃক্ত করার লক্ষে শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে হবে আগামী সেপ্টেম্বরে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2021, 05:09 PM
Updated : 9 June 2021, 05:09 PM

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ পরিকল্পনার কথা জানান।

তিনি বলেন, “এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবক হতে অনুপ্রাণিত ও সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়েছে। অপরদিকে সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের জন্য একটি সম্ভাবনময় গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা গেছে।”

বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫৭টি দেশ থেকে সাত হাজারের বেশি স্টার্টআপ ও ইনোভেটর এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ ১৪২টি দেশে প্রতিযোগিতার ক্যাম্পেইন হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশ-বিদেশ থেকে সাত হাজারের বেশি স্টার্টআপ আবেদন করে, যেখান থেকে ৫৬টি দেশের মোট ২৫৫টি প্রকল্প গৃহীত হয়।

এরপর দুই দফায় বাছাই শেষে ১০টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সেরা স্টার্টআপ নির্বাচন করা হয়, তারা সরাসরি গ্র্যান্ড ফিনালেতে অংশ নেবে।

অন্যদিকে দুই দফায় দেশিয় পর্যায়ে প্রাথমিক স্টার্টআপ বাছাই হয়। প্রথম পর্যায়ে ২৮ জন বিচারক পাঁচটি স্ক্রিনিং বোর্ডের মাধ্যমে ২৮৬টি দেশীয় স্টার্টআপ বাছাই করেন।

আগামী ১২ জুন থেকে অনলাইন বুটক্যাম্প শুরু হবে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রুমিং শেষে সেখান থেকে ৬৫টি স্টার্টআপ নিয়ে শুরু হবে ১৩ পর্বের টিভি রিয়েলিটি শো। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে একটি বেসরকারি টিলিভিশনে তা প্রচার করার পরিকল্পনা হয়েছে।

রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে ৬৫টি স্টার্টআপ থেকে ২৬টি স্টার্টআপ নির্বাচন করা হবে। এর সাথে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে নির্বাচিত ১০টি এবং আইডিয়া প্রকল্পের আওতাভুক্ত পোর্টফলিও স্টার্ট-আপের সেরা আরও ১০টি স্টার্টআপ মিলিয়ে মোট ৪৬টি স্টার্টআপকে নিয়ে হবে ‘বিগ ২০২১ গ্র্যান্ড ফিনালে’।

সেপ্টেম্বরে ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২১’ এর গালা ইভেন্টের আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, প্রতিযোগিতার সেরা স্টার্টআপ পাবে বিশেষ সম্মাননা এবং এক লাখ ডলার সমমূল্যের অর্থ পুরস্কার।

সেইসাথে রিয়েলিটি শোর মাধ্যমে নির্বাচিত ২৬টি র্স্টাটআপ ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে নির্বাচিত ১০টি র্স্টাটআপ পাবে আইডিয়া প্রকল্পের আওতায় ১০ লাখ টাকা করে অনুদান।

তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রসৈনিক’ হিসেবে বর্ণনা করে পলক বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষক, উদ্ভাবকদের সম্পৃক্ত করে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ও এন্টারপ্রেনিয়র সাপ্লাইচেইন তৈরির মাধ্যমে তরুণদের আত্মনির্ভরশীল করতে আইসিটি বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।”

তিনি বলেন, দেশে সাড়ে ছয় লাখের বেশি আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করছে। মুজিববর্ষে স্টার্টআপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৫০টি স্টার্টআপে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রাকিব,  ই-ভ্যালি সিইও মোহাম্মাদ রাসেল, ওয়ালটন ডিজিটেক নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা এফ জাবিন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।