এ খবর প্রথমে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ভার্জ। পরে এক স্ন্যাপ মুখপাত্র নিশ্চিত করেন সংবাদের সত্যতা সম্পর্কে। অন্যদিকে, রয়টার্স এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছে, এ চুক্তিটি স্ন্যাপকে এমন ভবিষত্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে যেখানে এআর পরিধেয় পণ্য হয়তো চোখে পড়বে সর্বব্যাপী।
প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল ও ফেইসবুকের মতো স্ন্যাপও এআর ডিভাইস তৈরিতে মনোযোগ দিচ্ছে। স্মার্টফোনের পর প্রযুক্তিখাতের পরবর্তী সম্মুখসারির পণ্য হয়ে উঠতে পারে এ ধরনের ডিভাইস।
মূলত এআর পরিধেয়র মাধ্যমে ব্যবহারকারীদেরকে পথের নির্দেশনা প্রত্যক্ষভাবে দেখানোর বা কোনো ঐতিহাসিক স্থানের তথ্য আশপাশে দেখানোর মতো পরিকল্পনা রয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর।
স্ন্যাপ জানিয়েছে, ওয়েভঅপটিকসকে ৫০ কোটি ডলারের অর্ধেক তারা দেবে দিন শেষে শেয়ারবাজার বন্ধ হওয়ার দর অনুসারে এবং বাকি অর্ধেক তারা দেবে আগামী দুই বছর ধরে নগদ বা শেয়ারের মাধ্যমে।
স্ন্যাপের কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান্টা মনিকায়। অন্যদিকে, ওয়েভঅপটিকসের প্রধান কার্যালয় যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে।
বৃহস্পতিবার স্ন্যাপ নতুন সংস্করণের স্পেকটাকলস চশমা দেখিয়েছে। এবারই প্রথম এআর’কে বিল্ট-ইন ক্যামেরা, দুই স্পিকার এবং চার মাইক্রোফোনের সঙ্গে জুড়ে দিল কোনো প্রতিষ্ঠান।
নতুন এআর চশমাটিকে জনসাধারণের কাছে বিক্রির কোনো পরিকল্পনা নেই স্ন্যাপের। শুধু এআর ডেভেলপারদেরকে চশমাটি দেবে তারা।