চিপ সঙ্কটে মুখোমুখি মার্কিন গাড়ি ও কম্পিউটিং শিল্প

অ্যাপল, গুগল এবং মাইক্রোসফটসহ বিশ্বের কয়েকটি বড় চিপ ক্রেতা প্রতিষ্ঠান যোগ দিচ্ছে ইনটেলের মতো শীর্ষ চিপ-নির্মাতার সঙ্গে। তাদের লক্ষ্য চিপ উৎপাদনে ভর্তুকির জন্য মার্কিন সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য একটি নতুন লবিয়িং গ্রুপ তৈরি করা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2021, 06:04 PM
Updated : 12 May 2021, 09:15 AM

‘সেমিকন্ডাক্টর্স ইন আমেরিকা কোয়ালিশন’ নামে নতুন গঠিত এই সংগঠনে অ্যামাজনের অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসও রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। মঙ্গলবার সংগঠনটি মার্কিন জনপ্রতিনিধিদের 'চিপস ফর আমেরিকা' আইনের অধীনে তহবিল অনুমোদন করার অনুরোধ করেছে। ওই তহবিলের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরই মধ্যে কংগ্রেসের কাছে ৫০ বিলিয়ন ডলার চেয়েছেন।

এই কোয়ালিশন মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান নেতাদের কাছে একটি চিঠিতে বলেছে, “চিপস আইনের এই তহবিল আমেরিকাকে আরও নির্ভরযোগ্য সরবরাহ চেইন তৈরি করতে সহায়তা করবে। এর ফলে, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগুলি যখন আমাদের প্রয়োজন হয় তখন তা হাতের নাগালেই থাকবে।”

বৈশ্বিক চিপ ঘাটতি এরই মধ্যে গাড়ি নির্মাণ শিল্পে আঘাত করেছে। গাড়ি নির্মাতা পুরোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফোর্ড মোটর জানিয়েছে সঙ্কটের কারণে বছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।

গাড়ি নির্মাণ শিল্প এখন মরিয়া হয়ে বাইডেন প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছে গাড়ি কারখানার জন্য চিপ সরবরাহ সুরক্ষিত করতে। এদিকে গত সপ্তাহেই রয়টার্স জানিয়েছে, প্রশাসনের কর্মকর্তারা জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করার মাধ্যমে কম্পিউটার চিপের সরবরাহ গাড়ি নির্মাতাদের কাছে পাঠানোর বিষয়ে খুব একটা উৎসাহী নন। তাদের ভয়, এর ফলে অন্যান্য শিল্পে আঘাত লাগতে পারে।

নতুন জোটে অন্যান্য চিপ-ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, এটি অ্যান্ড টি, সিসকো সিস্টেমস, জেনারেল ইলেকট্রিক, হিউলেট প্যাকার্ড, এবং ভেরাইজন-এর মতো সদস্যরা। এই সংগঠনটি গাড়ি নির্মাতাদের মতো কোনো একক খাতে চিপ সরবরাহে সম্ভাব্য সরকারী উদ্যোগের বিরুদ্ধে আগেই সতর্ক করেছে।

অ্যাপলের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও চিপ ঘাটতির কারণে ভুগছে। তবে গাড়ি নির্মাতাদের তুলনায় এদের ভোগান্তি অনেক কম।

আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি গত মাসেই জানিয়েছে, চিপ ঘাটতির কারণে জুনে শেষ হওয়া প্রান্তিকে তাদের আয় তিন থেকে চার বিলিয়ন ডলার কমে যাবে। তবে এই প্রান্তিকে অ্যাপলের আয় নিয়ে বিশ্লেষকদের অনুমিত ৭২.৯ বিলিয়ন ডলারের বিক্রয়ের তুলনায় ওই বিক্রি হ্রাস কেবল কয়েক শতাংশ।