পরিচিতরা মেসেজে লিংক পাঠাচ্ছে? ট্যাপ করতে সাবধান!

মোবাইল ফোনে মেসেজ এলো - আপনার ডেলিভারি রেডি, প্যাকেজটির অবস্থান জানতে নিচের লিংকটি অনুসরণ করুন। এরপর একটি হইপারলিংক দেওয়া। আপনার হয়তো মনে পড়বে একটি শাড়ি, কুর্তা, চশমার ফ্রেম, হাতঘড়ি, টি শার্ট বা ব্যাগ কিনেছিলেন অনলাইনে কিন্তু এখনও ডেলিভরি পাননি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2021, 12:55 PM
Updated : 24 April 2021, 12:55 PM

কী করবেন আপনি, ওই লিংকে গিয়ে ক্লিক বা ট্যাপ করবেন?

গত দুই সপ্তাহে ভয়াবহ রকম বেড়েছে এই ধরনের মেসেজ এবং এগুলো আদতে কোনো প্যাকেজ সরবরাহ তথ্য আপনাকে দেবে না। হ্যাঁ, প্যাকেজ ট্র্যাক করার একটি অ্যাপ আপনাকে ইনস্টল করতে বলবে ঠিকই। বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, ওই অ্যাপ আসলে একটি স্পাইওয়্যার। এখন পর্যন্ত এটি আক্রমণ করছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনকেই।

অনেক ক্ষেত্রেই অ্যাপটির নাম দেখায় ফ্লুবট। এর ক্ষমতা রয়েছে মোবাইল ফোন হ্যাক করার এবং স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার। কতোটা স্পর্শকাতর? বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, আপনার ব্যাংকের তথ্যও চলে যেতে পারে হ্যাকারদের কাছে।

ভোডাফোন জানিয়েছে, এইরকম লাখ লাখ মেসেজ এই এখনই গোটা মোবাইল নেটওয়ার্কজুড়ে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, "ফ্লুবটের যে ঢেউ এখন চলছে, সেটি কিছুদিনের মধ্যেই ভয়াবহ বাঁক নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এটি ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট সচেতনতা দরকার।"

"ব্যবহারকারীদের উচিৎ হবে বিশেষ এই ম্যালওয়্যার বিষয়ে অসম্ভব সতর্ক থাকা। আরও সতর্ক থাকা উচিৎ কোনো টেক্সট মেসেজ বা এসএমএস-এর সঙ্গে আসা লিংকে ট্যাপ করার বিষয়ে।"

 

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার এক সতর্কবার্তায় বলেছে, "আপনি যতি ভুল করে ওই লিংকে ক্লিক বা ট্যাপ করেও বসেন, আতঙ্কিত হবেন না। এটি দূর করারও উপায় আছে।"

এই ম্যালওয়্যারটির ক্ষমতা আছে নিজে থেকেই একইরকম মেসেজ তৈরি করে আক্রান্ত মোবাইলের ফোনবুকে গিয়ে অন্য কন্ট্যাক্টসেও পাঠানোর। ম্যালওয়্যারটি ছড়াচ্ছেই এভাবে।

সইবারনিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিসিএস ইনসাইটের প্রধান বিশ্লেষক বেন উড বলছেন, ভোডাফোন তার গ্রাহকদের জন্য সতর্কবার্তা ইস্যু করার বিষয়টিই জানান দেয় যে বিষয়টি কতোটা গুরুতর।

তার মতে, এই ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে ডিনায়াল অফ সার্ভিসেস অ্যাটাক করা সম্ভব। আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটি আপনার ফোনে রাখা তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে।

ডেলিভারি প্যাকেজের মেসেজ দিয়ে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সাধারণ। সচরাচর এরা ফিশিং বা বুঝিয়েশুনিয়ে গ্রাহককে কোনো সাইটে নিয়ে যায় এবং তথ্য হাতিয়ে নেয়। কিন্তু এবারের ব্যতিক্রম হলো এটা মোবাইল ফোনে ইনস্টল হয়ে বসে এবং মেসেজ পাঠাতে থাকে, নতুন শিকার পাওয়ার জন্য।