ফাইল ফরম্যাট ‘পিডিএফ’ উদ্ভাবকের জীবনাবসান

অ্যাডোবি’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গেশকে ৮১ বছর বয়সে মারা গেছেন। গেশকের হাত ধরে অ্যাডোবি যাত্রা শুরু করে ১৯৮২ সালে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2021, 01:50 PM
Updated : 18 April 2021, 01:50 PM

প্রথমবারের মতো বিশ্বকে পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট (পিডিএফ) সফটওয়্যার উপহার দেয় এ প্রতিষ্ঠানটি। এতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। এটি বাদেও বহু অডিও-ভিজুয়াল সফটওয়্যারের নির্মাতাও অ্যাডোবি।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গেশক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে উঠে এসেছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।

অ্যাডোবি প্রধান নির্বাহী শান্তানু নারায়েন জানিয়েছেন, চাক নামে সুপরিচিত গেশকে “ডেস্কটপ পাবলিশিং বিপ্লবের স্ফুলিঙ্গটা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।”

“গোটা অ্যাডোবি কমিউনিটি এবং প্রযুক্তি শিল্পের জন্য এটি বড় একটি ক্ষতি, কারণ তিনি অনেকের জন্য পথপ্রদর্শক ছিলেন, আবার অনেকের জন্য ছিলেন নায়ক।” – কর্মীদের উদ্দেশ্যে লেখা এক ইমেইলে লিখেছেন তিনি।

তিনি আরও লিখেছেন, “অ্যাডোবি’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে চাক এবং জন ওয়ারনক যুগান্তকারী সফটওয়্যার তৈরি করেন যা মানুষ যেভাবে যোগাযোগ করে, সে বিষয়টিকেই বদলে দিয়েছিল।”

নারায়েন জানিয়েছেন, গেশকে এবং ওয়ারনক পিডিএফ, অ্যাক্রোবেট ইলাস্ট্রেটর, প্রিমিয়ার প্রো এবং ফটোশপের মতো রূপান্তরধর্মী সফটওয়্যারের উদ্ভবে ভূমিকা রেখেছেন।

গেশকে ১৯৯২ সালে অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। ওই সময়ে জাতীয় সংবাদপত্রের সংবাদ শিরোনামে পরিণত হন তিনি। পরে মুক্তিপণের অর্থ এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে উদ্ধার পান গেশকে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০০৯ সালে গেশকে এবং ওয়ারনককে ‘ন্যাশনাল মেডেল অফ টেকনোলজি’ পদক দেন।

“তিনি ছিলেন খুবই বিনয়ী একজন মানুষ – আমি তার স্ত্রী হিসেবে সে কথা বলতে পারি। নিজের সাফল্য নিয়ে তিনি খুবই গর্বিত ছিলেন, তবে, এ নিয়ে কতটুকু কী করা উচিত সে ব্যাপারে অত্যন্ত হিসেবিও ছিলেন তিনি।” – বলেছেন তার স্ত্রী ন্যান গেশকে।