বিভিন্ন আলোচনার মধ্যে অ্যামাজন প্রধান বেসেমার শহরে অ্যামাজনের ইতিহাসে প্রথম ইউনিয়ন প্রশ্নে নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তায় বিশেষভাবে সময় দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন।
“আপনার চেয়ারপার্সন কি বেসেমারে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট?” বলেছেন বেজোস। এরপর তিনি নিজেই উত্তর দিয়েছেন, “না, তিনি সন্তুষ্ট নন। আমি মনে করি কর্মীদের জন্য আমাদের আরও অনেক কিছুই করার আছে। যদিও ভোটের ফলাফল একপেশে হয়েছে এবং কর্মীদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি সম্পর্কের বন্ধনটি যথেষ্টই মজবুত, (তবে,) আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে, কর্মী মূল্যায়নের জন্য আমাদের আরও পরিণত দৃষ্টি দরকার।”
জেফ বেজোস অবশ্য যে যে ক্ষেত্রে অ্যামাজন ভালো করছে সে বিষয়গুলো তুলে ধরতে ভুল করেননি। এর মধ্যে রয়েছে কর্মীদের বেতন, কর্মস্থলের নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানটি যে যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেই বিষয়গুলো। এই বিষয়গুলোর প্রতিটিতেই কর্মীরা আসলে অ্যামাজনকে 'আরও কিছু' করার চাপ দিয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে সিএনএন-এর প্রতিবেদনে।
আরও যে বিষয়গুলো তিনি তুলে ধরেছেন, তার মধ্যে রয়েছে, বিশ্বব্যাপী অ্যামাজন প্রাইম গ্রাহক সংখ্যা গত বছর জানুয়ারিতে ১৫ কোটি থেকে বেড়ে ২০ কোটি হয়েছে।
বক্তৃতার শেষে কী খানিকটা আবেগপ্রবন হয়েছিলেন বেজোস? ১৯৯৭ সালে অ্যামাজনের শুরুতে প্রথম বছরের শেয়ারধারীদের মিটিংয়ে যে কথা বলেছিলেন বেজোস, সেখান থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে শেষ করেন তিনি বক্তৃতা - তোমরা সবাই সদয় হও, মৌলিক হও, যা ভোগ কর তার চেয়ে যেন বেশি তৈরি করতে পারো। আর হ্যাঁ, এই জগৎ যেন তোমাকে তোমার চারপাশের মতো করে না ফেলে, না ফেলে, না ফেলে। প্রতিদিনই যেন হয় প্রথম দিন।"