এলজি ফোন বাদ দেবেন না দক্ষিণ কোরিয়ার ‘ফোন পাগল’

দক্ষিণ কোরিয়ার রাইয়ু হিউয়ান-সু নিজেকে “এলজি ফোন পাগল” দাবি করেন। এলজি স্মার্টফোন ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও নিজের এলজি স্মার্টফোন বাদ দিতে নারাজ তিনি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 April 2021, 11:23 AM
Updated : 14 April 2021, 11:23 AM

রাইয়ু’র বর্তমান বয়স ৫৩ বছর। গত ২৩ বছরে প্রায় ৯০টির মতো এলজি ডিভাইস সংগ্রহ করেছেন। ডিভাইসের নকশা এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ড ভালো লেগে যাওয়ার কারণেই এলজি ফোনের জন্য এ ভালো লাগা তার। এলজি ফোনের গুণগত মানের অডিও ভালো লেগেছিল রাইয়ু’র।

“অডিও’র কারণে এলজি ফোনের পেছনে পুরোটা নিয়ে নেমে পড়ি।” – বলেছেন রাইয়ু।

দক্ষিণ সিওলের আনইয়াংয়ে অবস্থিত নিজ বাড়িতে রাইয়ু’র নিবেদিত একটি ঘর রয়েছে ডিভাইসের জন্য, সেখানে সারাইয়ের যন্ত্রাংশ ও টুল রয়েছে তার। 

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান এলজি ফোন তৈরি করছে প্রায় ২৫ বছর ধরে। কিন্তু অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের সঙ্গে বাজারে প্রতিযোগিতায় সুবিধা করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। উল্লেখ্য, স্যামসাং ও অ্যাপলের তুলনায় ধীরগতিতে সফটওয়্যার আপডেট এনেছে এলজি। 

টানা ছয় বছর স্মার্টফোন বিভাগে লোকসান হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। সবমিলিয়ে ক্ষতির অংক সাড়ে চারশ’ কোটি ডলারে গিয়ে ঠেকেছে ২০২০ সালের শেষ নাগাদ।

এ প্রসঙ্গে রাইয়ু বলছেন, “আমার মতে ওরা গুণগত মান বাদ দিয়ে (স্যামসাংয়ের সঙ্গে) পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করছিল, প্রতিষ্ঠান নকশা এবং অন্যান্য ব্যাপারে অনেক বেশি মনোযোগ দিচ্ছিল।” এ কারণে বারবার সমস্যা হছে বলে মনে করেন তিনি।

রাইয়ু’র এলজি ফোন ছাড়ার কোনো ইচ্ছা নেই। উল্টো “বহুদিন” এলজি ফোন ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে তার। অনলাইন থেকে যন্ত্রাংশ কিনবেন তিনি। “একটু অনুশীলন করে নিলেই যন্ত্রাংশ বদলে নেওয়া সহজ। আমি ঠিক জানি না কবে যন্ত্রাংশ শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু যতদিন যন্ত্রাংশের সরবরাহ চলবে ততদিন আমি ব্যবহার চালিয়ে যেতে চাই।” – বলেছেন তিনি।

“আমার কাছে, স্যামসাং ফোন বুদ্ধিদ্বীপ্ত বন্ধুর মতো, অ্যাপল ফোন বান্ধবীর মতো। আর এলজি ফোন হচ্ছে সেই বন্ধু যার সঙ্গে অনেক চড়াই-উতরাই পার করেছি জীবনে। ওই বন্ধুকে চলে যেতে দেখে খারাপ লাগছে, এটি খুবই দু:খজনক।” – বলেছেন রাইয়ু।