‘হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতার কন্যার গ্রেপ্তার আইনসম্মত, আটক নয়’

হুয়াওয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মেং ওয়াংঝুর গ্রেপ্তার বৈধ ছিল, তবে তাকে আটক রাখার বিষয়টিকে অবৈধ বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী। কানাডার আদালতে আইনজীবীদের এই বক্তব্য এই মামলায় চীনের সরকারী অবস্থান থেকে খানিকটা ভিন্ন হয়ে দাঁড়ালো।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2021, 01:22 PM
Updated : 1 April 2021, 01:30 PM

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইস্যু করা এক ওয়ারেন্টের ফলে ভ্যাঙ্কুভার বিমানবন্দরে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার হন ৪৯ বছর বয়সী মেং। অভিযোগ ছিল, ইরানে হুয়াওয়ে’র ব্যবসা সম্পর্কে এইচএসবিসিকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে ব্যাংক জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি।

হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠাতার এই কন্যা নিজেকে নির্দোষ দাবি করার পাশাপাশি ভ্যাঙ্কুভারে গৃহবন্দী অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ ঠেকাতে আইনী লড়াই চালাচ্ছেন।

হুয়াওয়ের আইনজীবীরা যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির মার্কিন কার্যক্রম থেকে মেংকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, ফলে এ বিষয়ে তাকে দায়ী করার কোনো এখতিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।

এদিকে, মেংকে গ্রেপ্তারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের পরোয়ানা ইস্যু করেছে তাতে করে কানাডা-আমেরিকা প্রত্যার্পণ চুক্তির বাধ্যবাধকতায় তাকে গ্রেপ্তার করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না; কানাডা সরকারের আইনজীবী এমন যুক্তি দিয়েছেন বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

বুধবার মেংয়ের আইনজীবী গিব ভ্যান আর্ট আদালতে বলেন, "প্রত্যার্পণের দাবিসহ যে পরোয়ানা যুক্তরাষ্ট্র পাঠিয়েছে তাতে তাকে গ্রেপ্তার করা ছাড়া কানাডার কোনো উপায় ছিলো না", তবে তিনি এ-ও যোগ করেন, "কিন্তু তাকে টানা আটক রাখা বেআইনী।"

মেংকে গ্রেপ্তারে অনুরোধের কোনো এখতিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের ছিলো না এমন দাবির সূত্র ধরে ভ্যান আর্ট আদালতে বলেন, “কোনো সন্দেহ নেই যে এই আটক স্বেচ্ছাচারী আচরণ ছিল। আর এখন দেখা যাচ্ছে এটা একেবারেই বেআইনী।”

চীন বরাবরই বলে এসেছে, মেংয়ের গ্রেপ্তার এবং সম্ভাব্য প্রত্যর্পণ অবৈধ। মেং আটক হওয়ার পরপরই চীন গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুই কানাডীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। কানাডা বলেছে, ঘটনাটিকে কানাডা স্রেফ ‘চীনের প্রতিশোধ’ হিসাবে দেখছে।

মেংয়ের মামলাটি এই মে মাসেই ফয়সালা হওয়ার কথা রয়েছে।