বৃহস্পতিবার প্রযুক্তিমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ বলেন, ভিডিও স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলিকে তাদের অনুষ্ঠান এবং চলচ্চিত্রের জন্য "দায়বদ্ধ এবং জবাবদিহি" থাকতে হবে। গত মাসেই এ বিষয়ে ভারত সরকার প্রবর্তিত নীতিমালার সমর্থনে তিনি এ কথা বললেন।
ফেইসবুক এবং টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ ভারত আরও বাড়িয়েছে সম্প্রতি। "ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইনস অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিকস কোড" নামে এই বিধিমালায় নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজন প্রাইমের মতো সেবাগুলোকে তাদের কনটেন্ট দর্শক বয়সের উপর ভিত্তি করে শ্রেণিবদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে।
নতুন এই নিয়মাবলী এমন সময়ে এলো যখন ডিজিটাল মিডিয়া বা ওভার-দ্য-টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্ম যেমন অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও এবং নেটফ্লিক্স ভারতে ক্রমাগত বাস্তবতার নিরিখে অশ্লীল বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো কনটেন্ট প্রচারের জন্য সমালোচিত হচ্ছে। ওটিটি সেবাগুলো সরাসরি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে কনটেন্ট পৌঁছে দেয়।
এর মধ্যে অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও'র এক শীর্ষ নির্বাহীকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি। ওই সেবার একটি অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত হানার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার জের ধরে শেষ পর্যন্ত অ্যামাজনকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।
ভারতের প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বৃহস্পতিবার বলেন, নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলির যেমন কনটেন্ট তৈরির অধিকার আছে তেমনি ওই কনটেন্ট নিয়ে অন্যদেরও অভিযোগ করার অধিকার আছে।
নতুন নীতিমালায় স্ট্রিমিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে কনটেন্ট বিষয়ে অভিযোগের প্রতিকার ব্যবস্থা এবং এ বিষয়ে দায়িত্ব দিয়ে নতুন নির্বাহী নিয়োগে বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ভারত নতুন নীতিমালায় তিন স্তরের কনটেন্ট মডারেশন পদ্ধতি আরোপ করার কথা বলেছে। এর প্রথম স্তরে থাকছে প্ল্যাটফর্মের স্ব-নিয়ন্ত্রণ এবং শেষ ধাপে রয়েছে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি সরকারি প্যানেল।
“ভারত একটি সহনশীল দেশ এবং তাই থাকবে”- প্রসাদ বলেছেন। “তবে সেই সহনশীলতার মানদণ্ডকে কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কোনও নির্দিষ্ট নির্মাতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাওয়া উচিত নয়।”