কংগ্রেসের মুখোমুখি হচ্ছেন ডরসি-পিচাই-জাকারবার্গ

ফেইসবুক, গুগল এবং টুইটারের প্রধান নির্বাহীরা হাজির হচ্ছেন মার্কিন কংগ্রেসের সামনে। সম্ভবত তারা চরমপন্থী, ভুল তথ্য এবং তাদের পরিষেবা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন। ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পপন্থী উগ্র সমর্থকদের মার্কিন ক্যাপিটলে আক্রমণের পর এই প্রথম এরা কংগ্রেসের মুখোমুখি হচ্ছেন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2021, 02:06 PM
Updated : 25 March 2021, 02:06 PM

‘হাউস এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটি’র দুটি উপকমিটির যৌথ শুনানিতে বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল উপস্থিতি দেখা যাবে ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ, গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট প্রধান সুন্দার পিচাই এবং টুইটার প্রধান জ্যাক ডর্সি'র।

প্যানেলটিতে রিপাবলিকানরা সম্ভবত, তাদের ভাষায়, রক্ষণশীল কণ্ঠকে দমিয়ে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠান তিনটির সমালোচনা করবেন বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে ৬ জানুয়ারির সহিংসতায় প্ররোচনা দানের অভিযোগে নিষিদ্ধ করেছে টুইটার, ফেইসবুক তার স্বাধীন বোর্ডের কাছে জানতে চেয়েছে তাকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে কি না, এবং তিনি এখনও ইউটিউব থেকে সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছেন।

এরই মধ্যে কিছু সংখ্যক মার্কিন জনপ্রতিনিধি ‘কমিউনিকেশন্স ডিসেন্সি অ্যাক্ট’-এর ২৩০ ধারার বিলোপ চাচ্ছেন। বিশেষ এই আইনটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে তাদের ব্যবহারকারীদের আচরণ বিষয়ে দায়মুক্তি দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বেশ কিছু ডেমোক্রেট বিল ক্লিনটনের আমলে করা এই ধারাটি বিলোপের পক্ষে।

বুধবার প্রকাশিত লিখিত বক্তব্যে ফেইসবুক যুক্তি দিয়ে বলেছে যে, প্ল্যাটফর্ম যদি ‘আন্তরিকভাবে’ ভুল তথ্য অপসারণের উদ্যোগ নেয় তবে সেই প্ল্যাটফর্মের জন্য দায়মুক্তির বিধান রেখেই ধারা ২৩০-এর সংশোধণী আনা উচিত।

তবে, এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটির প্রধান ফ্রাঙ্ক প্যালোন হতাশা প্রকাশ করেছেন। তার বক্তব্য হলো, বছরের পর বছর চাপ দেওয়া সত্বেও ভুল তথ্য প্রচারের কোনো সমাধান প্ল্যাটফর্মগুলো আনেনি।

সাম্প্রতিক একটি মেমোতে তিনি এ-ও ইঙ্গিত করেন যে, ফেইসবুক এবং ইউটিউবের অ্যালগরিদম চরমপন্থী প্রচারণার সহায়ক এবং টুইটার শ্বেত আধিপত্য সমর্থক জাতীয়তাবাদীদের ঠেকাতে যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়নি।

এই তিন সিইও'র সবাই এর আগে একাধিকবার কংগ্রেসের সামনে হাজির হয়েছেন। এদের মধ্যে ফেইসবুকের মার্ক জাকারবার্গ ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সাতবার হাজির হয়েছেন।