কয়েক বছরেই অ্যাপে বার্ষিক খরচ হবে ২৭ হাজার কোটি ডলার

গোটা বিশ্বে প্রিমিয়াম অ্যাপে ভোক্তাদের খরচ বাড়বে। খরচ বাড়তে দেখা যাবে ‘ইন-অ্যাপ পারচেস’ এবং অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লে স্টোর সাবস্ত্রিপশনেও। ২০২৫ সাল নাগাদ এ খাতে মোট খরচ গিয়ে দাঁড়াবে বার্ষিক ২৭ হাজার কোটি ডলারে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2021, 10:05 AM
Updated : 1 March 2021, 10:05 AM

হিসেবে ২০২০ সালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অ্যাপে খরচ করার হার যা বেড়েছে, সেটির চেয়ে প্রায় আড়াই শতাংশ বাড়বে। সম্প্রতি এ সম্পর্কিত ডেটা প্রকাশ করেছে অ্যাপ বিশ্লেষক সংস্থা সেন্সর টাওয়ার। কোভিড-১৯ বিশ্বে মোবাইল অ্যাপে খরচ বছরান্তের হিসেবে ৩০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার একশ’ কোটি ডলারে।

সেন্সর টাওয়ারের ডেটা বলছে, প্রতি বছর খরচ বৃদ্ধির হার আগামী পাঁচ বছরে মহামারী পূর্ব মাত্রায় ফিরে আসবে। তবে, দুই অ্যাপ স্টোরেরই গড় আয় ১৯.৫ শতাংশ ‘বার্ষিক সার্বিক হারে’ বাড়বে, এটি ২০২৫ সাল নাগাদ ২৭ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছে যাবে।

ডেইলি পাইওনিয়ারের প্রতিবেদন বলছে, অ্যাপ স্টোর ২০২৫ সালে সার্বিকভাবে বার্ষিক বৃদ্ধির হার (সিএজিআর) ২৫ শতাংশ হয়ে বার্ষিক ১৮ হাজার পাঁচশ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। অন্যদিকে গুগল প্লে স্টোর সার্বিকভাবে বার্ষিক বৃদ্ধির হার দেখবে ১৭ শতাংশ, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পৌঁছাবে বার্ষিক আট হাজার পাঁচশ কোটি ডলারে।

বৈশ্বিক প্রবণতার চেয়ে কিছুটা ধীরগতিতে বাড়বে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা খরচ, ২০২৫ সালে দুই অ্যাপ স্টোরের সম্মিলিত সিএজিআর ১৭.৭ শতাংশ হয়ে দাঁড়াবে সাত হাজার চারশ’ কোটি ডলারে। এর মধ্যে অ্যাপলের সিএজিআর ১৯.৬ শতাংশ বেড়ে হবে পাঁচ হাজার একশ কোটি ডলার। অন্যদিকে, গুগলের দুই হাজার তিনশ’ কোটি ডলার, সিএজিআর হবে ১৪ শতাংশ।

আগামীতে নন-গেইমিং অ্যাপের আয়ও অনেক বাড়বে। নন-গেইমিং অ্যাপে মানুষের খরচ ২০২৫ সাল নাগাদ ১০ হাজার সাতশ’ কোটি ডলারে গিয়ে ঠেকবে। অন্যদিকে, গেইমিং অ্যাপের খরচ গিয়ে ঠেকবে সাত হাজার আটশ’ কোটি ডলারে।