নন-গেইমিং অ্যাপে বেশি সময় দেবেন অ্যাপল ব্যবহারকারীরা

সম্প্রতি ডেটা বিশ্লেষণ সংস্থা সেন্সরটাওয়ার জানিয়েছে, অ্যাপল ব্যবহারকারীরা ২০২৪ সাল নাগাদ নন-গেইমিং অ্যাপে আরও বেশি সময় ব্যয় করতে পারেন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2021, 08:41 AM
Updated : 23 Feb 2021, 08:41 AM

লকডাউনের সময়টিতে ডিভাইস ব্যবহারকারীরা গেইমিং অ্যাপসের বাইরেও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজের নানাবিধ অ্যাপ খুঁজে বের করেছেন। সেন্সরটাওয়ারের বরাতে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ব্যবসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুস্থ্যতা সম্পর্কিত অ্যাপসের ডাউনলোড বেড়েছে।

মহামারীর শুরুর দিকে অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহারকারীরা অ্যাপ স্টোরের মোবাইল গেইমসের পেছনেই সময় ব্যয় করেছেন বেশি। কিন্তু ধীরে ধীরে লকডাউন বাড়তে থাকায়, এবং যোগাযোগ অনলাইন নির্ভর হয়ে যাওয়ায় ব্যবহারকারীরা ফটো-ভিডিও শেয়ারিং, ডেটিং, ভিডিও কনফারেন্সিং এবং ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপসের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে পড়েন।

গত বছর শেয়ার দর বেড়েছে জুম ভিডিও কমিউনিকেশনস ইনকর্পোরেটেড, ম্যাচ গ্রুপ এবং অন্যান্য আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের, যাদের সেবা মানুষকে ঘরে থাকতে সাহায্য করেছে।

সেন্সরটাওয়ারের তথ্য অনুসারে, আগামী পাঁচ বছরে বৈশ্বিকভাবে মোবাইল অ্যাপের ভোক্তা খরচ ২৭ হাজার কোটি ডলারের ঘরে দাঁড়াবে। হিসেবে ২০২০ সালের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি বাড়বে খরচ।

ডেটা বিশ্লেষণী সংস্থাটি আরও বলছে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের চেয়েও বেশি খরচ করবেন অ্যাপল গ্রাহকরা। অ্যাপ স্টোরের বৈশ্বিক আয় গিয়ে দাঁড়াবে ১৮ হাজার পাঁচশ’ কোটি ডলারে।

তবে, গেইমের আয় সংক্রান্ত শেয়ার অ্যাপ স্টোরের বদলে গুগল প্লে স্টোরে বাড়বে। ২০২৫ সাল নাগাদ এ ধরনের শেয়ার গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে দাঁড়াবে ৭১ শতাংশ, আর অ্যাপ স্টোরে ৪২ শতাংশে।

আগামী পাঁচ বছরে ইউরোপ মূল বাজার হয়ে উঠবে। মহাদেশটি পেছনে ফেলে দেবে এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাকে। ২০২৫ সাল নাগাদ ইউরোপে ডাউনলোড বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে তিন হাজার ছয়শ’ কোটি ৯০ ডলারে। ২০২০ সালেও এটি ছিল দুই হাজার আটশ’ ৪০ কোটির ঘরে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী পাঁচ বছরে বছর আয় প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে চার হাজার দুইশ’ কোটি ডলারের ঘরে।