এ ব্যাপারে ফক্সকন চেয়ারম্যান লিউ ইয়ং-ওয়ে বলেছেন, “যেহেতু আমাদের অধিকাংশই বড় গ্রাহক, তাই তাদের সবারই সতর্কতামূলক পরিকল্পনা রয়েছে। এ কারণে বড় গ্রাহকদের উপর প্রভাব পড়লেও তা হবে সীমিত।”
এ বছরের প্রথমার্ধে ফক্সকনের ব্যবসা ভালো হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন লিউ। “বিশেষ করে মহামারী যখন কমে আসছে এবং চাহিদা এখনও যথেষ্টই রয়েছে।”
কোভিড-১৯ মহামারীর মুখে বিশ্বে ল্যাপটপ, গেইমিং কনসোল এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্সের চাহিদা বেড়েছে। এরকম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে চিপ সংকট। সেমিকন্ডাক্টর শিল্প এবং গাড়ি নির্মাণ শিল্প এরই মধ্যে সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।
বিশ্লেষক সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ উল্লেখ করেছে, স্মার্টফোন খাতেও এ সংকট এসে পৌঁছাবে। অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসর, ডিসপ্লে ড্রাইভার চিপস, এবং পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ সবকিছুই সংকটের মুখে পড়বে।
অ্যাপল এ প্রভাব কম দেখবে বলেও উল্লেখ করেছে গবেষণা সংস্থাটি। তাদের ভাষ্যে, ব্যবসার আকার ও সরবরাহকারীদের অ্যাপলকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি এখানে ভূমিকা রাখবে। উল্লেখ্য, অ্যাপল ফক্সকনের সবচেয়ে বড় গ্রাহক।
ফক্সকন বিদ্যুত চালিত গাড়িসহ অন্যান্য খাতে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে চাইছে। লিউ জানিয়েছেন, তাদের বিদ্যুত চালিত গাড়ির প্ল্যাটফর্ম ‘এমআইএইচ’ এর এখন ৭৩৬টি অংশীদারি অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।