দুই বছরের জন্য ই-স্কুটার চালানো থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে। এ ছাড়াও কমিউনিটি সেবা দেওয়ার আদেশ পেয়েছেন ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী।
আদালতে অভিযোগ উঠেছে, যুক্তরাজ্যের আইল অফ ওয়াইটে কিয়াহ জর্ডান নামের ওই তরুণী মদ্যপানের গ্রহনযোগ্য সীমার তিন ধাপ বেশি পান করে ই-স্কুটার চালাচ্ছিলেন। ওই সময় লাল বাতি অমান্য করেন তিনি এবং আরেকটু হলেই পুলিশের গাড়িতে ধাক্কাই দিয়ে বসেছিলেন।
ম্যাজিস্ট্রেটরা জানিয়েছেন, ই-স্কুটার “মোটর বাহন শ্রেণীর - মোপেডের মতো এবং বাসের মতো।”
জর্ডানের আইনজীবি হেনরি ফার্লে অবশ্য আদালতে দাবি করেন, তার মক্কেলের কারণে কারো ক্ষতি হতো না, যেহেতু তিনি “ধীরগতিতে স্কুটার চালাচ্ছিলেন”। স্কুটারের গতিসীমাই ১২.৫ মাইল প্রতি ঘণ্টা। তিনি আরও জানান, তার মক্কেল প্রায় দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার ঘটনা “মনে নেই”, তবে, বাহনটি ব্যবহার করা যে “বোকামো” হয়েছে তা স্বীকার করেছেন।
এদিকে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা-- ধাক্কা লাগলে বাহনের চালক “নিঃসন্দেহে আহত হতেন”।
সবমিলিয়ে দুই বছর ই-স্কুটার চালনা থেকে দূরে থাকতে হবে জর্ডানের। এ ছাড়াও ১২ মাস কমিউনিটি সেবায় ৪০ ঘণ্টার অবৈতনিক কাজ করতে হবে তাকে।
ডিসেম্বরে শুরু হয়েছে বেরিল ই-স্কুটার স্কিম। মূলত আইল অফ ওয়াইট অঞ্চলে ই-স্কুটার পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ১২ মাসের জন্য ২৫টি স্কুটার নামানো হয়েছে রাস্তায়, সামনে আরও ১২৫টি স্কুটার নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
আইল অফ ওয়াইটের আগ্রহী বাসিন্দারা যারা স্কুটার ব্যবহার করতে চান, তারা অ্যাপ ডাউনলোড করে চালনা অনুমোদন বিস্তারিত দিয়ে ই-স্কুটার ব্যবহার করতে পারবেন।