শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করলেন অ্যালফাবেট কর্মীরা

গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের দুইশ’রও বেশি কর্মী একত্রিত হয়ে গড়ে তুলেছেন শ্রমিক ইউনিয়ন। তাদের ভাষ্যে, কর্মীদেরকে কর্ম পরিবেশ বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের শক্তি যোগাবে সংগঠনটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2021, 11:27 AM
Updated : 5 Jan 2021, 11:27 AM

বিবিসি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সাম্প্রতিক সময়ে কর্মীদের কর্মবিরতিতে যাওয়া এবং অন্যান্য পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে এসেছে শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগ। গুগল জানিয়েছে, “সব কর্মীর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়া অব্যাহত রাখবে” তারা।

“আমাদের জনশক্তির জন্য সহায়ক এবং ফলপ্রসু কর্মস্থান তৈরির জন্য আমরা সবসময় দৃঢ়ভাবে চেষ্টা করেছি।” – বলেছেন গুগলের জন-পরিচালন বিভাগ পরিচালক কারা সিলভারস্টাইন। তিনি আরও বলেছেন, “অবশ্যই আমাদের কর্মীদের সুরক্ষিত শ্রম অধিকার রয়েছে যা আমরা সমর্থন করি, আমাদের সব কর্মীর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়া অব্যাহত রাখব আমরা।”

সম্প্রতি গুগল উচ্চ পদস্থ কৃষ্ণাঙ্গ এক বিজ্ঞানীকে চাকরিচ্যুত করে। ওই ঘটনার পর ফুঁসে ওঠেন অনেক গুগল ও প্রযুক্তি শিল্প কর্মী। এর পরপরই এলো শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার খবর।

‘ইউএস ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ড’ জানিয়েছে, ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ঠেকাতে অবৈধভাবে কর্মীদেরকে পদচ্যুত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

“এই ইউনিয়ন বছরের পর বছর গুগল কর্মীদের সাহসী সংগঠনের ভিত্তিতে তৈরি।” – এক ঘোষণায় বলেছেন কর্মসূচী ব্যবস্থাপক নিকি আনসেলমো।

“একদম ‘রিয়েল নেম’ নীতি থেকে প্রজেক্ট ম্যাভেন পর্যন্ত, যৌন হয়রানির সঙ্গে সম্পৃক্ত নির্বাহীদের কয়েক লাখ ডলার বেতন দেওয়ার মতো গুরুতর ব্যাপারে, আমরা প্রত্যক্ষভাবে দেখেছি সংঘবদ্ধভাবে কথা বললে অ্যালাফাবেট তা আমলে নেয়।” – বলেছেন আনসেলমো।

গুগলের ওই শ্রমিক ইউনিয়ন মূলত গড়ে উঠেছে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের হাত ধরে। তবে, প্রতিষ্ঠানটির মার্কিন ও কানাডিয়ান জনশক্তির সবার জন্যই ইউনিয়নের দরজা খোলা। এমনকি সাময়িক কর্মী এবং ঠিকাদাররাও চাইলে এতে যোগ দিতে পারবেন।

পুরো ইউনিয়নটি ‘কমিউনিকেশন ওয়ার্কার্স অফ আমেরিকা’ নামের বড় আরেকটি শ্রমিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে। তবে, এখনই ফেডারেল সরকারের কোনো অনুমোদন চাইছে না তারা। হিসেবে অ্যালফাবেট জনশক্তির ক্ষুদ্র একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করছে ইউনিয়নটি। ওই স্বল্প সংখ্যায় এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন।

ইউনিয়নের উদ্যোক্তারা টুইটারে লিখেছেন, “আমরা অ্যালফাবেটকে এমন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চাই, যেখানে আমাদের সবার উপরে এবং সমাজের উপর প্রভাব ফেলবে এমন সিদ্ধান্তের বেলায় কর্মীদের অর্থবহ মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে।”