‘রেকর্ড ভাঙা’ ছুটিতে শত শত কোটি বিক্রি অ্যামাজনের

করোনাভাইরাস মহামারী বাস্তবতায় গোটা বিশ্বের নজেহাল অবস্থা হলেও খারাপ নেই অ্যামাজন। এ বছরে প্রচুর মুনাফা করেছে প্রতিষ্ঠানটি, ঘরবন্দী মানুষকে সেবা দিয়ে গড়েছে নতুন রেকর্ড। সাম্প্রতিক এক ব্লগ পোস্টে এ ব্যাপারগুলো তুলে ধরেছে অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2020, 07:08 PM
Updated : 30 Dec 2020, 07:15 PM

সোমবারের ওই ব্লগ পোস্টে অ্যামাজন লিখেছে, “রেকর্ড ভেঙে দেওয়া ছুটির মৌসুম” পার করেছে তারা। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, “এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় গ্রাহক সঞ্চয়, ছোট ব্যবসায়ের বৃদ্ধি, কমিউনিটি দান” দেখেছে তারা।

এবারের ছুটির মৌসুমে শত শত কোটি পণ্য সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছে অ্যামাজন। ব্লগপোস্টের বরাত দিয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের প্রতিবেদন বলছে, এর মধ্যে একশ’ ৫০ কোটি খেলনা, গৃহস্থালী পণ্য, বিদ্যুতচালিত পণ্য এবং সৌন্দর্য ও ব্যক্তিগত যত্ন পণ্য রয়েছে। অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট এ প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট এবং মাঝারি ব্যবসার প্রায় একশ’ কোটি পণ্য অ্যামাজন মারফত বিক্রি হয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় এবারের ছুটির মৌসুমে তৃতীয় পক্ষীয় ব্যবসা বিশ্বব্যাপী বিক্রি ৫০ শতাংশ বাড়তে দেখা গেছে।

অ্যামাজন এই মহামারীর সময়ে সরবরাহ গতি ঠিক রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছে ওই ব্লগপোস্টে। ব্লগপোস্টের তথ্য অনুসারে, “কর্মীদের সুরক্ষা সহায়তায় ও ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এক হাজার কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ” করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মীর জন্য ‘অনসাইট’ কোভিড-১৯ পরীক্ষা সুবিধা নিয়ে এসেছে বলেও উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্লগপোস্টে লেখা তথ্য অনুসারে, প্রতি দশ সেকেন্ডে একজন করে অ্যামাজন কর্মীর করোনাভাইরাস পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে।

সোমবারের ব্লগ পোস্টে সব ইতিবাচক দিক তুলে ধরা হলেও, বছরটি এতোটা ইতিবাচকভাবে কাটেনি অ্যামাজনের। প্রতিষ্ঠানটির কর্মপরিবেশ এবং মহামারীতে সুরক্ষা স্বল্পতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কিছু অ্যামাজন ওয়্যারহাউজ শ্রমিক। অক্টোবরে অ্যামাজন জানিয়েছিল, প্রায় ২০ হাজার মার্কিন কর্মী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন।