চার বছরের মধ্যে গাড়ি বানানোর লক্ষ্য অ্যাপলের

অ্যাপলের নিজস্ব গাড়ি বানানো নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য প্রকল্পের মতো এই প্রকল্পটিতেও গোপনতা থাকায় খুব বেশি তথ্য নেই সাধারণ মানুষের কাছে। গাড়ি বানাতে অ্যাপলের গুরুত্বের বিষয়টি এবার সামনে এসেছে আরেক দফা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2020, 01:10 PM
Updated : 22 Dec 2020, 01:10 PM

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের মধ্যে একটি যাত্রীবাহী গাড়ির পাশাপাশি স্বচালিত গাড়ির ব্যবস্থা এবং ‘যুগান্তকারী ব্যাটারি প্রযুক্তি’ বানানোর লক্ষ্য রয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির।

প্রতিষ্ঠানের প্রথম গাড়িতেই নতুন সব প্রযুক্তি থাকবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর আগে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, নিজস্ব গাড়ি বানানোর পরিকল্পনা বাদ দিয়ে শুধু স্বচালিত গাড়ির প্রযুক্তি বানাচ্ছে অ্যাপল।

এবার আবারও অ্যাপলের নিজস্ব গাড়িরই ইঙ্গিত মিলল নতুন প্রতিবেদন।

অ্যাপল নিজস্ব গাড়ি বানাচ্ছে এমন গুজব চলে আসছে ২০১৫ সাল থেকেই। কিন্তু ২০১৬ সালে প্রকল্পটি লক্ষ্যণীয় মাত্রায় ছোট করে আনা হয়। পুরো গাড়ি বানানোর বদলে শুধু স্বচালিত গাড়ির প্রযুক্তি বানাচ্ছে অ্যাপল, এমন তথ্যই তখন সামনে আসে। ফলে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাছে অ্যাপল এই প্রযুক্তির লাইসেন্স বিক্রি করবে বলে ধারণা ছিল।

গত বছরই অ্যাপল কার দলের দুইশ’ কর্মীকে এই প্রকল্প থেকে সরিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এবার রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে ধারণা করা হচ্ছে, পুরো গাড়ি বানানোতেই আবার নজর দিয়েছে অ্যাপল। যদিও কবে নাগাদ এটি বাস্তবে দেখা যাবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।

প্রতিবেদন রয়টার্স বলছে, ২০২৪ সালে যাত্রীবাহী গাড়ি উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে অ্যাপলের। তবে, মহামারীর বিলম্বের কারণে এটি ২০২৫ সাল বা তারও পরে চলে যেতে পারে।

আবার অ্যাপল শুধু স্বচালিত গাড়ির প্রযুক্তিতেও মনযোগ দিতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েও সতর্ক করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

স্বচালিত গাড়ির প্রযুক্তি বানাতে লিডার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য কিছু যন্ত্রাংশের জন্য অ্যাপল তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

অ্যাপলের নতুন ব্যাটারি প্রযুক্তি নির্ভর করছে ‘মনোসেল’ নকশার ওপর। পুরো ব্যাটারি ইউনিটকে বিভক্ত না করে একটি ব্যাটারিতেই আরও বেশি ক্ষমতা যোগ করবে এই প্রযুক্তি। এর ফলে সম্ভবত গাড়িতে আরও বেশি রেঞ্জ পাওয়া যাবে এবং খরচ কমে আসবে।

অ্যাপল যদি স্বচালিত গাড়ি বানানোর পরিকল্পনা করেই থাকে, সেক্ষেত্রে নীতিমালার জটিলতার মুখেও পড়তে পারে প্রতিষ্ঠানটি।