সংবাদের জন্য অর্থ: অস্ট্রেলিয়া কঠোর কিন্তু অপছন্দ গুগলের

অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তাবিত আইন যা গুগল ও ফেইসবুককে সংবাদের জন্য অর্থ দিতে বাধ্য করবে, তা গণমাধ্যম শিল্পের বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং ন্যায্য – জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন ও কনজিউমার কমিশন চেয়ারম্যান রড সিমস।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2020, 12:52 PM
Updated : 21 Dec 2020, 12:52 PM

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ওই আইনের বদৌলতে অস্ট্রেলিয়া হবে প্রথম দেশ, যারা ফেইসবুক ও গুগলকে সংবাদ কনটেন্টের জন্য অর্থ দিতে বাধ্য করবে। এ ব্যাপারে গুগলের সমালোচনা তাকে বিস্মিত করেছে বলেও জানিয়েছেন সিমস।

ডিসেম্বরের শুরুর দিকে খসড়া ওই আইন উন্মোচন করেছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার। গুগল গত সপ্তাহে ওই আইন প্রসঙ্গে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত নীতি মেনে কাজ করা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে বিশেষ একটি অংশও তুলে ধরেছে মার্কিন সার্চ জায়ান্ট খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি। ওই অংশটিতে সুনির্দিষ্ট অ্যালগরিদম ও অভ্যন্তরীন পরিবর্তনের ব্যাপারে প্রকাশকদের দুই সপ্তাহ আগে অবহিত করতে হবে প্রকাশকদের।

সোমবার সিমস বলেছেন, “আমরা ভেবেছি তারা এটি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবে... আর তাই আমরা খুবই অবাক হয়েছি যখন তারা এ নিয়ে অভিযোগ করা অব্যাহত রেখেছে।”

শুধু গুগল নয়, কিছু গণমাধ্যমও প্রস্তাবিত আইন নিয়ে নাখোশ। কারণ আইনে বাণিজ্যিক চুক্তির বেলায় “দ্বিমুখী মান বিনিময়ের” কথা বলা হয়েছে। এতে করে গুগল ও ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট দেখার ভিত্তিতে নিজের মান বিবেচনা করতে হবে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে।

প্রথম খসড়ায় একমুখী মান বিনিময় ছিল জানিয়ে সিমস বলেন, “সত্যি বলতে, আমরা কখনও ভাবিনি মান এতো বড় হতে পারে, কারণ প্ল্যাটফর্ম ওখানে ছিল না, আমাদের হিসেব বলে, মানুষ এমনিতেই সরাসরি সংবাদ মাধ্যম ব্যবসার সাইটে যেতো।”

“কিন্তু আমরা বুঝতে পেরেছি যে এতেও কিছু মান রয়েছে, আর সে বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়াই ন্যায্যতা, আর যাই হোক আমাদের এমন একটি দর কষাকষির নীতি দরকার যা ন্যায্য হতে হবে এবং আমার মনে হয় দ্বিমুখী মান তা অর্জন করেছে।” – যোগ করেছেন সিমস।