শেয়ার বাজারে তারতম্যের মধ্যেও চলতি বছর বিটকয়েনের মূল্য বেড়েছে ১৭০ শতাংশের বেশি।
বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, বুধবার বিটকয়েনের মূল্য সাড়ে চার শতাংশ বেড়ে ২০ হাজার চারশ’ ৪০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সম্ভাব্য দ্রুত লাভের আশায় বড় বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখানোর কারণেই বেড়েছে বিটকয়েনের মূল্য।
স্টারবাকস এবং মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠান বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেনের সুযোগ দেওয়ায় এর পরিধি আরও বাড়তে পারে বলেও আশা করা হচ্ছে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য বিটকয়েনের এই যাত্রা ছিলো কঠিন। নভেম্বরে একবার ১৯ হাজার মার্কিন ডলার পেরিয়েছিলো বাজার মূল্য। পরবর্তীতে আবার কমেছে সেটি।
এর আগে ২০১৭ সালে ২০ হাজার মার্কিন ডলার পেরিয়েছিলো বাজার মূল্য। কিন্তু তারপর ধস নেমে মূল্য সর্বনিম্ন তিন হাজার তিনশ’ ডলারে পৌঁছেছিলো।
ব্রিটিশ পাউন্ড এবং মার্কিন ডলারের পাশাপাশি সাধারণ মূদ্রার মতোই বিস্তৃত পরিসরে বিটকয়েনেরও বাণিজ্য হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেন সুবিধাও চালু করেছে। সম্প্রতি এতে যোগ হয়েছে পেইপাল।
অবশ্য, বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেন বিষয়ে সতর্ক করেছেন ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি।
অক্টোবরে বেইলি বলেছেন, “আমাকে সৎ হতে হবে, আমরা যেটাকে অন্তর্নিহিত মূল্য বলি, বিটকয়েনের ক্ষেত্রে তা দেখতে পারা কঠিন। মানুষ এটা চাইছে, তাই এটির বাহ্যিক মূল্য থাকতে পারে।”
লেনদেনের ক্ষেত্রে বিটকয়েনের ব্যবহার নিয়ে “অত্যন্ত বিচলিত” বলেও জানিয়েছেন বেইলি। বিটকয়েনের মূল্য অত্যন্ত অস্থিতিশীল এই বিষয়টিও বিনিয়োগকারীদের বোঝা উচিত বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।