সামাজিক মাধ্যমের আইনি সুরক্ষা: প্রতিরক্ষার ‘এনডিএএ’ আটকাবেন ট্রাম্প

‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট’ (এনডিএএ) আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।  তার দাবি, এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে সুরক্ষা দানকারী ফেডারেল আইনের ২৩০ ধারা বাতিলের কথা বলা থাকতে হবে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2020, 12:20 PM
Updated : 2 Dec 2020, 12:20 PM

ফেডারেল আইনের ২৩০ ধারা ফেইসবুক ও টুইটারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুরক্ষা দেয়। ওই ধারার বদৌলতে ব্যবহারকারীর কোনো কনটেন্টের কারণে সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে মামলার কবলে পড়তে হয় না।

মঙ্গলবার এক টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, “যদি খুব বিপজ্জনক ও অন্যায্য ২৩০ ধারা পুরোপুরি বাতিলকে ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট এর অংশ না করা হয়, তাহলে আমার ‘রেজুলুট ডেস্কে’ পাঠানোর পর আমি স্পষ্টতই বিলে ভেটো দিতে বাধ্য হবো।”

ট্রাম্পের এ বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ইন্টারনেট অ্যাসোসিয়েশন। উল্লেখ্য, ইন্টারনেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে ফেইসবুক, অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দলটি বলছে, “২৩০ ধারা বাতিল করাটাই তো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। ওই আইনের বদৌলতেই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক কনটেন্ট মুছতে পারে, এগুলোর মধ্যে উগ্রবাদী কনটেন্ট এবং ভুল তথ্যও রয়েছে।”

অন্যদিকে, ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট বা এনডিএএ মূলত মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতি নির্ধারণ করতে সহায়তা করে। গত ছয় দশক ধরে বার্ষিকভাবে এটি পাশ হয়ে আসছে। এর মধ্যে সৈন্যদের বেতন বাড়ানো থেকে দেশের জন্য কতগুলো আকাশযান কেনা হবে বা রাশিয়া ও চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে কীভাবে প্রতিযোগিতায় যাওয়া যায়, সে বিষয়গুলো উল্লেখ থাকে।

ট্রাম্প আদৌ এতে ভেটো দেবেন কি না তা নিয়ে কংগ্রেসনাল সহায়করা সংশয় প্রকাশ করেছেন। ডেমোক্রেটরা ২৩০ ধারা বাতিলে সম্মত হবেন না বলেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। সম্মত না হওয়ার মূল কারণ হলো, ২৪ বছর পুরোনো ২৩০ ধারা সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা দিয়ে আসছে।

কংগ্রেসনাল সহায়কদের ধারণা, জোর করে ২৩০ ধারা সংশোধন এবং একে প্রতিরক্ষা বিলে নিয়ে আসার একটি অংশ হল ট্রাম্পের হুমকি।

এ বছর এরই মধ্যে ডেমোক্রেট-নেতৃত্বাধীন ‘হাউস’ এবং রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন সিনেটে বিলটি পাশ হয়েছে। আইনপ্রণেতাদের এখনও আইনটির চূড়ান্ত একটি সংস্করণ তৈরি করা বাকি।

আইন বিলম্বের হুমকি দিয়ে তা থেকে সরে আসার মতো কাজ অতীতেও করেছেন ট্রাম্প। গত বছরের শুরুর দিকে, সীমান্ত দেয়াল তৈরির অর্থ আদায়ে কংগ্রেসকে চাপের মুখে রাখতে আংশিকভাবে মার্কিন সরকারের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। পরে অবশ্য তা আর সামাল দিতে পারেননি, ওই দাবির প্রশ্নে রাজনৈতিক বিজয় পেয়েছিলেন ডেমোক্রেটরাই।