উদ্ভাবনে উৎসাহ দিতে ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট’

তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনী ধারণাকে উৎসাহিত করতে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট-২০২০’।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2020, 01:33 PM
Updated : 25 Nov 2020, 01:37 PM

ঢাকার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই আয়োজনের মাধ্যমে ৩৬টি স্টার্টআপকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে; এর মধ্যে সেরা স্টার্টআপকে ১ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান প্রদান করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনোই জীবনে ছোট কিছু চিন্তা করেননি, ছোট কোনো স্বপ্ন দেখেননি। উনি দূরদৃষ্টি দিয়ে সমস্যার সমাধান, অধিকার আদায়ের জন্য বড় বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন।

“যদি তরুণদের আমরা অনুপ্রাণিত করতে চাই, বঙ্গবন্ধুর জীবনের সংগ্রাম ও রাজনৈতিক দর্শন তাদের সামনে তুলে ধরা গেলে তারা কখনোই জীবন সংগ্রামে পরাজিত হবে না। সেই উদ্দেশ্যে আমরা উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের অনুপ্রাণিত করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি।”

শুরুতে মুজিববর্ষের জন্য এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের চিন্তা থাকলেও পরে এটি প্রতিবছর আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।

জাতীয় প্লাটফর্মের বাইরে গিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট’কে আন্তর্জাতিক একটি প্লাটফর্ম হিসেবে তৈরির আশাবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী।

“শুধু বাংলাদেশের স্টার্টআপরা বা উদ্ভাবকরা নয়, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের তরুণ উদোক্তা-উদ্ভাবকদের জন্য এটিকে একটি আকর্ষণীয় প্লাটফর্মে পরিণত করতে চাই।”

মুজিববর্ষে প্রযুক্তিনির্ভর বেশ কিছু উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এবারই প্রথম এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশি স্টার্টআপদের সাথে আন্তর্জাতিক স্টার্টআপদের যোগাযোগ হবে, পাশাপাশি আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শকে বিশ্বের তরুণদের মাঝে তুলে ধরতে পারব।”

বুধবার থেকে আগ্রহীরা বিআইজিডটগভডটবিডি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্টে’ নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধন শেষে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোক্তারা জাতীয় পর্যায়ে ২৫ ডিসেম্বর এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিযেগিতায় অংশ নিতে পারবেন।

নিবন্ধনপ্রাপ্ত আবেদন থেকে প্রাথমিকভাবে ২০০ স্টার্টআপকে বাছাই করা হবে। সেখান থেকে ৬৫টি দেশীয় স্টার্টআপকে নিয়ে বুটক্যাম্প এবং টিভি রিয়েলিটি শো এর আয়োজন করা হবে। সেখান থেকে সর্বশেষ ২৬টি স্টার্টআপকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদানের জন্য নির্বাচিত করা হবে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক রোড শোর মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা ১০টি স্টার্টআপকে অনুদান দেওয়া হবে। আগামী মার্চে চূড়ান্ত বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে আয়োজকদের।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক বক্তব্য দেন।