জাপানে ‘ডিজিটাল ইয়েন’ পরীক্ষা শুরু হবে আগামী বছর 

জাপানে ‘প্রাইভেট ডিজিটাল মুদ্রা’ আনতে কাজ করছে ৩০টিরও বেশি জাপানি প্রতিষ্ঠানের একটি জোট। আগামী বছর ওই মুদ্রা নিয়ে পরীক্ষা শুরু করবে প্রতিষ্ঠানগুলো।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2020, 01:37 PM
Updated : 19 Nov 2020, 01:38 PM

বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে ওই জোটের সাংগঠনিক কাঠামো। সম্প্রতি ‘ব্যাংক অফ জাপান’ ডিজিটাল ইয়েন ছেড়ে তা নিয়ে পরীক্ষা শুরুর পরিকলপনা জানায়। এর পরপরই এলো ঘোষণাটি।

ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে পরীক্ষা করবে এমন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জাপানের বড় তিনটি ব্যাংক, ব্রোকারেজ, টেলিযোগাযোগ সংস্থা, ইউটিলিটি সংস্থা এবং খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত সবাই সাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

“জাপানে অনেক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এগুলোর কোনোটাই নগদ লেনদেনকে হারিয়ে দেওয়ার মতো অবস্থানে আসতে পারেনি।” – বলেছেন সাবেক ব্যাংক অফ জাপান নির্বাহী হিরোমি ইয়ামোকা।       

“আমরা আরেকটি পৃথক-ধাঁচের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চাই না। আমরা যেটা করতে চাই সেটা হলো এমন একটি কাঠামো তৈরি করা যা একাধিক প্ল্যাটফর্মকে পারস্পরিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তুলবে।” – যোগ করেছেন ইয়ামোকা।

তিনি আরও জানিয়েছেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যাংকের হাতে ‘ডিজিটাল মুদ্রা’ দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। তবে, অন্যান্য স্বত্ত্বার ডিজিটাল মুদ্রা দেওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ নগদ অর্থপ্রবাহ পছন্দ করে, তাদের মধ্যে জাপান অন্যতম। দেশটির পুরো লেনদেনের মাত্র ২০ শতাংশ ডিজিটাল পদ্ধতিতে হয়। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে এ হার ৪৫ শতাংশ, আর চীনে ৭০ শতাংশ।

কর্মতৎপরতা বাড়াতে দেশটির কর্তৃপক্ষ কাগুজে নোটের বদলে ডিজিটাল লেনদেন উৎসাহিত করতে আগ্রহী। কিন্তু ডিজিটাল লেনদেনের অসুবিধার কারণে পুরো উন্নয়নটাই ধীরগতির হয়ে দাঁড়িয়েছে।   

চীনের মতো ডিজিটাল মুদ্রার বেলায় সবার জন্য একটি মান ঠিক করে উঠতে পারেনি জাপানের প্ল্যাটফর্মগুলো। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে এবং নিজেদের মধ্যে এখনও সামঞ্জস্যহীন অবস্থাতেই রয়েছে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জাপানের তিন মেগাব্যাংকের কথা। মিতসুবিশু ইউএফজে ফিনানশিয়াল গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড, মিজুহো ফিনানশিয়াল গ্রুপ ইনকর্পোরেটটেড এবং মিতসুই গ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের প্রত্যেকেরই নিজ নিজ ডিজিটাল লেনদেন প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু তাদের লেনদেনে সফটব্যাংক গ্রুপের ‘পেপে’ এর মতো সুবিধা নেই।