অ্যামাজন প্রাইম সদস্যরা প্রথম দুই দিন বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের পাশাপাশি জেনেরিক অর্থাৎ নির্মাতা নির্বিশেষে কোনো ওষুধে ৮০ শতাংশ এবং প্রেসক্রিপশনে উল্লেখিত ব্র্যান্ডের ওষুধে ৪০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
ওষুধ কেনার আগে মৌলিক কিছু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য দিতে হবে ক্রেতাদের, প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি। এরকম তথ্যের মধ্যে থাকবে, ক্রেতা গর্ভবতী কি না, জন্ম তারিখ কত, স্বাস্থ্য বীমার বিস্তারিত ইত্যাদি।
ব্যাপারটি ভালোভাবে নিতে পারেননি অনেকেই, প্রশ্ন তুলেছেন, প্রযুক্তি কর্পোরেশনকে স্বাস্থ্য ডেটা দেওয়া নিয়ে। এদিকে অ্যামাজন ফার্মেসির ভাইস প্রেসিডেন্ট টিজে পার্কার জানিয়েছেন, “অসুবিধাজনক এবং বিভ্রান্তিকর হতে পারে” এমন একটি শিল্পকে বদলে দেওয়ার আশায় রয়েছেন তিনি।
“আমরা পর্দার পেছনে জটিলতাগুলো নিয়ে মসৃণভাবে কাজ করব যাতে যার প্রেসক্রিপশন প্রয়োজন, তিনি যাতে নিজ বিকল্পগুলো বুঝতে পারেন, সবচেয়ে কম মূল্যে নিজের অর্ডারটি দিতে পারেন এবং দ্রুত নিজ ওষুধের সরবরাহ পেতে পারেন।” – যোগ করেছেন পার্কার।
ডাক্তাররা সরাসরি অ্যামাজন ফার্মেসির কাছে প্রেসক্রিপশন পাঠিয়ে দিতে পারবেন। আপাতত শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই এটি সম্ভব হবে। আবার রোগীরা চাইলে বিদ্যমান রিটেইলারের কাছ থেকে অ্যামাজন ফার্মেসিতে চলে আসার আবেদন করতে পারবেন।
অ্যামাজন জানিয়েছে, স্বাস্থ্য ডেটা অ্যামাজনের রিটেইল সাইট থেকে পৃথকভাবে রাখা হবে। কোনো তথ্যই অনুমতি ছাড়া বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে শেয়ার করা হবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালেই ৭৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারের বিনিময়ে অনলাইন ফার্মেসি ‘পিলপ্যাক’ কিনে নিয়েছিল অ্যামাজন।
সাবেক অ্যামাজন নির্বাহী জেমস টমসন ব্যাপারটি নিয়ে মন্তব্য করেছেন, খুব শীঘ্রই হয়তো দেখা যাবে অ্যামাজন ওই স্বাস্থ্য ডেটার ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট ক্রেতার জন্য শরীরচর্চার উপকরণ, সুনির্দিষ্ট পণ্য সামগ্রী ও অন্যান্য পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে।
“যখন এ ধরনের ব্যাপারগুলো ঘটতে শুরু করে, তখন আমাদের যে অনেক বড় ডেটা সমস্যা রয়েছে তা আরও পরিষ্কার হয়ে উঠে বলেই বিশ্বাস করি আমি।” – যোগ করেছেন তিনি।