ডেমোক্রেটরা প্রশ্ন করেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাচন জালিয়াতির দাবিতে শুধু “বিতর্কিত” লেবেল জুড়ে দেওয়াটাই যথেষ্ট ছিল কি না। অন্যদিকে, জুডিশিয়ারি কমিটির রিপাবলিকান সদস্যরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন এ ধরনের পদক্ষেপ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নেওয়া ঠিক কি না, সে প্রসঙ্গে।
বিবিসি উল্লেখ করেছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরেছেন ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ও টুইটার প্রধান জ্যাক ডরসি।
ঘুরে ফিরে আবারও প্রশ্ন উঠেছিল সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দেওয়া আইন ধারা ২৩০-কে নিয়ে। রিপাবলিকান সিনেটররা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো কিছু নামিয়ে ফেলতে, লেবেল জুড়তে এবং কোনো কিছু করা ছাড়াই রেখে দেওয়ার মধ্য দিয়ে সম্পাদকীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
রিপাবলিকান সিনেটরদের ভাষ্যে, এ ব্যাপারগুলো তাদের ‘প্রকাশক’ এ পরিণত করেছে। তারা আর আগের মতো শুধু তথ্য বিতরণকারীর অবস্থানে নেই। ফলে ২৩০ ধারার নিরাপত্তা পাওয়া উচিত নয় তাদের। “ফেডারেল আইন আপনাদেরকে উঠে দাঁড়াতে এবং মামলার শিকার না হয়ে বড় হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। কিন্তু আপনারা এটি ব্যবহার করেছেন উন্মত্ত হয়ে উঠতে।” – বলেছেন রিপাবলিকান সিনেটর ব্ল্যাকবার্ন।
মার্কিন নির্বাচনের সময় নেওয়া নিজ নিজ পদক্ষেপের ব্যাপারে সাফাই গেয়েছেন দুই প্রধান নির্বাহী। শুধু টুইটার প্রধান জানিয়েছেন, প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচন প্রার্থী ও বর্তমান নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলেকে নিয়ে লেখা নিউ ইয়র্ক পোস্ট নিবন্ধ সরিয়ে দেওয়াটা “ভুল” ছিল।
ডনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচন জালিয়াতির অভিযোগ তুলে যে পোস্ট করেছিলেন, তাতে শুধু লেবেল জুড়ে দেওয়া এবং তা গোপন করে দেওয়া যথেষ্ট ছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন ডেমোক্রেটিক সিনেটর ডায়ান ফাইনস্টাইন। উত্তরে ডরসি জানান, তিনি ব্যবহারকারীদেরকে “প্রসঙ্গ” দেওয়ায় বিশ্বাসী এবং “আরও বড় আলোচনায় সংযুক্ত করা”কে সঠিক পথ বলে মনে করেন।
অন্যদিকে, সিনেটর ফাইনস্টাইন ফেইসবুক প্রধান জাকারবার্গকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি নির্বাচনের ভুল ফলাফল প্রকাশ ঠেকাতে যথেষ্ট করেছেন কি না। ওই সময়ে ট্রাম্পের নির্বাচন জালিয়াতি দাবির পরপর হ্যাশট্যাগ ‘স্টিল দ্য ভোট’ ও ‘ভোটার ফ্রড’ যে তিন লাখেরও বেশি মানুষের কাছে ছড়িয়েছিল তা-ও উল্লেখ করেন সিনেটর।
উত্তরে জাকারবার্গ বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, এক্ষেত্রে আমরা উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ নিতে পেরেছি।” ব্যবহারকারীদেরকে সঠিক তথ্য দেখানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন ফেইসবুক প্রধান।
রিপাবলিকান সিনেটর জনি আর্নেস্ট জানতে চেয়েছিলেন, দুই প্রধান নির্বাহী নিজ নিজ কর্মীর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নজরে রাখতে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। উত্তরে দুই প্রধান নির্বাহীই জানান, এটি করা কষ্টকর। তবে, তারা কোভিড-১৯ মহামারীর একটি প্রভাব তুলে ধরেন। দুই প্রধান নির্বাহীই জানান, লম্বা একটি সময় তাদের কর্মীদেরকে বাসা থেকে কাজ করতে হবে, এটি তাদের জনশক্তিতে বৃহত্তর বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে।