প্লেন নির্মাতা বোয়িং, অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন, ভার্জিন গ্রুপ প্রধান স্যার রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিককে পেছনে ফেলে শেষ পর্যন্ত সেই অর্জন পৌঁছলো ইলন মাস্কের স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিসের হাতে- সংক্ষেপে যে প্রতিষ্ঠানটি স্পেসএক্স নামে পরিচিত।
প্রায় তিন দশক ধরে নাসা নিজস্ব শাটল যান ব্যবহার করেছে মহাশূন্যে অভিযান পরিচালনায়। এরপর নাসাকে দ্বারস্থ হতে হয়েছে চীর প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়ার কাছে, তাদের সয়ুজ যান ব্যবহারের জন্য।
সোমবার স্পেসএক্সের মহাকাশযাপনে চেপে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন চার নভোচারী। এবারই প্রথমবারের মতো ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মহাকাশযানের মাধ্যমে মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর মিশন পরিচালনা করল নাসা।
উৎক্ষেপণের আধ ঘণ্টা পর নভোচারী মাইক হপকিন্স ক্রু ড্রাগন ককপিট থেকে পৃথিবীর কন্ট্রোল রুমকে বলেন, “অবস্মিরণীয় একটি সফর ছিল।” তিনি আরও বলেন, “অনেক হাসিমুখ দেখেছি।”
বাহনে থাকা থ্রাস্টারের মাধ্যমে পরবর্তী ২৭ ঘণ্টা ধরে ধীরে ধীরে কক্ষপথে উঠতে থাকবে ক্রু ড্রাগন। বাংলাদেশ সময়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছানোর কথা রয়েছে ক্যাপসুলটির। এর মধ্যে আট ঘণ্টা বিশ্রামের সময় পাবেন নভোচারীরা।
উৎক্ষেপণের দুই ঘণ্টা আগে অবশ্য সমস্যার মুখে পড়েছিল মহাকাশযানটি। ভেতরে বাতাস বের হয়ে যাওয়ায় অপ্রত্যাশিতভাবে কিছুটা কমে যায় ক্যাপসুলের চাপ। পরে সফলভাবে সমস্যার সমাধান করেন বিশেষজ্ঞরা, এবং উৎক্ষেপণ পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারেই সম্পন্ন হয়।
রেজিলিয়েন্স নভোচারীদের মধ্যে তিন জন মার্কিন ও একজন জাপানি নভোচারী রয়েছেন। জাপানি নভোচারীর নাম স্ইচি নগুচি। মার্কিন নভোচারীরা হচ্ছেন জন হপকিন্স, মিশন পাইলট ভিক্টর গ্লোভার এবং চিকিৎসক শ্যারন ওয়াকার।
উৎক্ষেপণের সময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র “মহাকাশে মানব অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নবায়ন করেছে।”
নতুন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক টুইট বার্তায় অভিবাদন জানিয়েছেন। তিনি উৎক্ষেপণ প্রসঙ্গে লিখেছেন, এটি “বিজ্ঞানের শক্তির স্বাক্ষ্য দিচ্ছে।”