মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি'র প্রতিবেদন বলছে, প্রতিষ্ঠানের এক সভায় জাকারবার্গ বলেছেন, "আমার বিশ্বাস নির্বাচনের ফলাফল এখন স্পষ্ট এবং জো বাইডেন আমাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন৷"
"নির্বাচন মৌলিকভাবে সুষ্ঠ হয়েছে, এ বিষয়ে জনগণের আস্থা থাকা জরুরি এবং এটি ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া কোটি কোটি মানুষের ক্ষেত্রেও," যোগ করেন জাকারবার্গ৷
বাইডেন প্রশাসনকে স্বীকৃতি দিয়ে এটিই জাকারবার্গের প্রথম মন্তব্য। যদিও কোনো প্রমাণ না দেখিয়েই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভোটে বিস্তৃত পরিসরে জালিয়াতি হয়েছে।
বাইডেনের প্রচারণা শিবিরের পক্ষ থেকেও সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেইসবুক। গণতন্ত্রের ওপর নির্বাচনী বিজ্ঞাপন এবং ভুয়া তথ্যের প্রভাবের ক্ষেত্রে ফেইসবুকের পদক্ষেপ নিয়ে অভিযোগ করেছে বাইডেনের প্রচারণা শিবির।
এমন সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও ফেইসবুক কর্মীরা সিএনবিসি-কে জানিয়েছেন, তাদের ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ বা ভুল তথ্য ছড়ানো নিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না আসাটাই অনেকটা স্বস্তিদায়ক।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নানা অভিযোগের তীর সইতে হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটিকে। এবার প্রতিষ্ঠানটি মার্কিন নির্বাচন নিয়ে তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে উঠেছে। এজন্য ব্যবহারকারীদেরকে ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাপে নোটিফিকেশনও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্তব্যে জাকারবার্গ আরও বলেছেন, বহিষ্কার করার জন্য যথেষ্ট ফেইসবুক নীতিমালা অমান্য করেননি ট্রাম্পের সাবেক পরামর্শদাতা স্টিভ ব্যানন৷
সম্প্রতি ব্যানন দাবি করেছেন, এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রেই এবং সরকারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচির শিরোশ্চ্ছেদ করা উচিত এবং তাদের মাথা হোয়াইট হাউসের বাইরে গেঁথে রাখা উচিত৷
সোমবার ব্যাননের সঙ্গে যুক্ত একটি নেটওয়ার্কের অনেক পেইজ সরিয়েছে ফেইসবুক৷ বেশি গ্রাহকের কাছে তথ্য পৌঁছাতে কৌশল খাটাচ্ছিলো এই পেইজগুলো৷