ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওটি এখন আর টুইটারে নেই, নামিয়ে নিয়েছেন ব্যবহারকারী। ভিডিও’র মাধ্যমে প্রমাণের চেষ্টা ছিল, কোন অঙ্গরাজ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন, তা ভুলে গেছেন বাইডেন। কাজটি করতে কৌশলে ভিডিওর ভেতরে থাকা চিহ্ন ও অঞ্চলের নামগুলো বদলে দেওয়া হয়েছিল।
সম্পাদিত ভিডিওটি দেখে মনে হচ্ছিল, ফ্লোরিডায় জনসমাবেশ করতে গিয়েছেন বাইডেন। কিন্তু জনসাধারণকে অভিবাদন জানিয়ে বসেছেন আরেক অঙ্গরাজ্য মিনেসোটার নাম নিয়ে।
আসল ঘটনা কিন্তু সেটি নয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ভিডিওটি মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যেরই, শুধু কৌশলে মিনেসোটার নাম মুছে ফ্লোরিডার নাম বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল সম্পাদনার মাধ্যমে।
ভিডিও পোস্টের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা দেখেছেন ১১ লাখেরও বেশি মানুষ। পরে রোববার বিকেলে টুইটার ওই ভিডিওটিতে “বিভ্রান্তিকর মিডিয়া” লেবেল জুড়ে দেয়।
সিএনএনের তথ্য অনুসারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব দল ও তার সমর্থকরা ক্রমাগত এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ভিডিও পোস্ট করে প্রমাণ করতে চাইছেন, বাইডেন আসলে অফিসের জন্য মানসিকভাবে উপযুক্ত নন।
ট্রাম্প সমর্থকদের উপর এ ধরনের ভিডিও প্রভাব ফেলছে বলেও উঠে এসেছে সিএনএনের প্রতিবেদনে। তাদের অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, বাইডেন আসলেই এমন ভুলোমনা।
মঙ্গলবার উইসকনসিনের ওয়েস্ট সালেমে সমাবেশ করেন ট্রাম্প। ওই সমাবেশের আগে এক ট্রাম্প সমর্থক বলেন, বাইডেন তার মানসিক সক্ষমতার কারণেই দেশ চালানোর উপযোগী নন। “তিনি ভুলে যান কোথায় রয়েছেন, কার বিপক্ষে লড়ছেন, কীসের জন্য লড়ছেন।” – বলেন ওই ট্রাম্প সমর্থক।
বাইডেন কার বিপক্ষে লড়ছেন, কীসের জন্য লড়ছেন তা যে ভুলে গেছেন, সেটি কোথায় দেখেছেন জিজ্ঞাসা করলে ওই ট্রাম্প সমর্থক আরেকটি ভিডিও’র কথা জানান। উল্লেখ্য, ওই ভিডিওটিকেও সম্পাদনার মাধ্যমে বদলে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে দেখানো হয়েছিল, বাইডেন বুশের বিরুদ্ধে লড়ছেন বলে জানাচ্ছেন।