বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, চুরি যাওয়া তথ্যের মধ্যে রোগীর ব্যক্তিগত শনাক্তকরণ নাম্বার এবং থেরাপি সেশনে আলোচনার নোট রয়েছে।
ফিনল্যান্ডে প্রায় ২০টি শাখা এবং হাজারো গ্রাহক রয়েছে ভাসতামোর। ভুক্তভোগী গ্রাহকদেরকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৮ সালের নভেম্বরে এই ডেটা চুরি গেছে বলে ধারণা করছে ভাসতামো। ২০১৯ সালের মার্চেও তথ্য বেহাত হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিষয়টি নিয়ে তদন্তে পুলিশকে সহায়তা করছে বলেও জানিয়েছে ভাসতামো।
ইতোমধ্যেই প্রায় তিনশ’ রেকর্ড ডার্ক ওয়েবে প্রকাশ পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি। ওয়েবসাইটে এই ঘটনাকে “বড় একটি দূর্যোগ” বলেছে ভাসতামো।
ভুক্তভোগীদেরকে বিনামূল্যের একটি থেরাপি সেশন দিতে সহায়তা লাইন চালু করেছে ভাসতামো। এই সেশনের বিস্তারিত রেকর্ড করবে না প্রতিষ্ঠানটি।
এই পরিস্থিতিকে “অস্বাভাবিক” দাবি করে রোববার রাতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মারিয়া ওইসালোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে ফিনিশ সরকার।
এদিকে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এফ-সিকিওরের মিকো হিপ্পোনেন এক টুইট বার্তায় বলেছেন হামলাকারীর “কোনো লজ্জা নেই।”
“ভুক্তভোগীদের জন্য এটি খুবই দুঃখজনক, এর মধ্যে অনেকেই প্রাপ্তবয়স্ক নয়,” যোগ করেন হিপ্পোনেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাসতামোর এক গ্রাহক বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা এক ব্যক্তি বলেছেন--
>> ৪০ বিটকয়েন দিতে রাজি হয়নি ভাসতামো।
>> এখন তাকে বিটকয়েনের মাধ্যমে ২০০ ইউরো পরিশোধ করতে হবে।
>> ২৪ ঘন্টা বাদে মুক্তিপণের পরিমাণ পাঁচশ’ ইউরোতে পৌঁছাবে।
>> ৭২ ঘন্টা বাদে সেশনের ডেটা ফাঁস করা হবে।
ওই ব্যক্তি আরও বলেছেন, “ওই সেশনগুলোর নোট এবং কথপোকথনের তথ্য হামলাকারীর কাছে রয়েছে বলে আমি চিন্তিত।”