হ্যাকিং এবং অন্যান্য চিট কোডের ব্যবহার অ্যামাং আস গেইমে আগে থেকেই ছিলো। কিন্তু এবারের ঘটনাটি ভিন্ন। মূলত অনলাইন ম্যাচে স্প্যাম আক্রমণ চালাচ্ছে হ্যাকাররা। ইন গেইম চ্যাট লগে ভেসে উঠছে হ্যাকারের বার্তা। অনেক ক্ষেত্রে গেইমারকে হুমকি দিয়ে ভয়ভীতিও দেখানো হচ্ছে।
সমস্যা এতোটাই বেড়েছিলো যে অ্যামাং আস নির্মাতা ইনারস্লথ বৃহস্পতিবার রাতে জরুরি সার্ভার আপডেট আনার কথা জানিয়েছে। গেইমারদেরকে ইনারস্লথ আশ্বস্ত করেছে, তারা হ্যাকিংয়ের বিষয়টি সম্পর্কে ‘পুরোপুরি অবগত’, এর হাত থেকে বাঁচতে আপাতত গেইমারদেরকে বন্ধু এবং বিশ্বস্তদের সঙ্গেই শুধু গেইম খেলার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ভার্জ জানিয়েছে, স্প্যাম বার্তায় ইউটিউব চ্যানেল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা চালানো হয়েছে, সুনির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সাবস্ক্রাইব না করলে গেইমারদের ব্যক্তিগত ডিভাইস হ্যাক করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনা শুরুর একদিন আগেই মঙ্গলবারে টুইচে ‘অ্যামাং আস’ লাইভস্ট্রিম করেছিলেন কংগ্রেসওম্যান আলেক্সান্ড্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ। ভিডিওটি প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি দেখা ভিডিওগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে। ভিউয়ের হিসেবে টুইচে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে এটি।
গেইম খেলার ফাঁকে অন্যান্য গেইমারদেরকে তার সঙ্গে যোগ দিতে এবং নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।
উল্লেখ্য, অ্যামাং আস গেইমে অংশগ্রহণকারীদের একটি ভাঙা স্পেসশিপ মেরামতের কাজে নামতে হয়। আর তাদের মধ্যেই থাকে একজন ছদ্মবেশী। গেইমারদেরকে ওই ছদ্মবেশীকে খুঁজে বের করতে হয়, আর কেউ যদি ছদ্মবেশীর ভূমিকা পান, তাহলে ধরা পড়ার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে হয়।
অ্যামাং আস স্প্যাম আক্রমণকারীর দাবি, আরও ডজনখানেক হ্যাকারকে নিয়োগ দিয়েছে সে। ঠিক কীভাবে ওই একই সময়ে এতো ম্যাচে স্প্যাম আক্রমণ চলছে, সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয় বলে উল্লেখ করেছে দ্য ভার্জ।
আক্রমণকারীর দাবি, এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ম্যাচে স্প্যাম আক্রমণ হয়েছে, ভুক্তভোগী গেইমারের সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ।
এরিস লরিস ইউটউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপনী হ্যাক ও অন্যান্য গেইম চিটিং সম্পর্কিত ভিডিও রয়েছে। লরিস নিজেকে ট্রাম্প সমর্থক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বলে উঠে এসেছে ‘ইউরোগেইমারের’ এক প্রতিবেদনে।