যাত্রী বহনে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা না গেলে বিষয়টি কেবল যে হতাশাজনক হবে তাই নয়, প্রযুক্তি সাইট ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, এর ফলে আর্থিক জরিমানার মুখেও পড়তে পারে বোরিং কোম্পানি।
এখানে মূল বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি নয়, বরং নীতিমালা। এই নেটওয়ার্কের তিনটির মধ্যে একটি লোডিং জোন, যার নাম কনভেনশন সেন্টার লুপ, সেখানে ঘন্টায় কেবল আটশ’ যাত্রীর ওঠানামার অনুমোদন রয়েছে। এমনটা যদি তিনটি লোডিং জোনের ক্ষেত্রেই সত্য হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানের অঙ্গীকারের তুলনায় স্রেফ এক চতুর্থাংশ যাত্রী বহন করতে পারবে বোরিং কোম্পানির এই টানেল।
কী কারণে ঘণ্টায় আটশ’ যাত্রীর এই সীমাবদ্ধতা এসেছে তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
সড়ঙ্গের মাধ্যমে অঙ্গীকার অনুযায়ী যথেষ্ট যাত্রী পরিবহন করতে না পারলে আর্থিক ভোগান্তির মুখেও পড়তে পারে প্রতিষ্ঠানটি। মূল বাজেটের চেয়েও এক কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বেশি খরচ হতে পারে এই প্রকল্পে।
ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, ১৩ ঘন্টা ধরে প্রতি ঘন্টায় গড়ে প্রায় চার হাজার যাত্রী বহন করতে না পারলে প্রতিটি ট্রেড শো’র জন্য তিন লাখ মার্কিন ডলার করে, সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানার মুখে পড়তে পারে বোরিং কোম্পানি।
প্রকল্প শেষ করার জন্য নির্ধারিত সময়ও ছাড়িয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। পয়লা অক্টোবরের মধ্যে লুপের নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিলো।
নথি অনুযায়ী ২০২১ সালের কনজিউমার ইলেকট্রনিক শো’র আগে চালু করতে হবে ব্যবস্থাটি। প্রতিষ্ঠান প্রধান ইলন মাস্ক ১৪ অক্টোবর এক টুইটে বলেছেন, “হয়তো এক মাস বা তার কিছু বেশি সময়ের মধ্যে” চালু হবে এই লুপ।
চলতি বছর মে মাসে এই যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য সুড়ঙ্গ খননের কাজ শেষ করেছে বোরিং কোম্পানি।